সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ আগস্ট, ২০১৬ ২০:১৪

জঙ্গি হামলার হুমকির নেপথ্যে ত্রিভুজ প্রেম, আটক ৪

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও নির্বাহী অফিসারের বাসভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকির নেপথ্যে ছিল ত্রিভুজ প্রেম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিককে ফাঁসানোর জন্যই হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকাসহ ৪ জনকে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

মোবাইলফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের কালা মন্ডলের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৩০), সিমের মালিক তফির উদ্দিনের ছেলে সুজন খান (২৫), ভালুকা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে শওকত ও প্রবাসী এনামুল হক রতনের স্ত্রী ফারহানা আক্তার রনিকে (২৬) আটক করে।

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফায়েজুর রহমান জানান, সৌদি প্রবাসী রতনের স্ত্রী ফারহানা রনির সঙ্গে দীর্ঘদিন শওকতের পরকীয়া চলছিল। গত কয়েক মাস আগে কথিত প্রেমিকা ফারহানা শওকতকে বাদ দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত নূরু উদ্দিন মন্ডলের ছোট ভাই মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

শওকতের সঙ্গে ফারহানার এ সম্পর্ক মফিজ কোনোভাবেই মানে নিতে পারেনি। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মফিজ তার কথিত প্রেমিকার কাছ থেকে শওকতের দেয়া রবি কোম্পানির সিমটি নিয়ে শওকতকে ফাঁসানোর জন্য ইউএনওর বাসভবন ও অফিস উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

ফারহানার সঙ্গে পরকীয়া চলাকালীন শওকত তার গাড়ির ড্রাইভার সুজন খানের নিবন্ধন করা সিমটি প্রেমিকাকে দিয়েছিল।

মফিজ ভেবেছিল, সিমটি শওকতের নামে নিবন্ধন করা। এ নম্বর থেকে হুমকি দিলে প্রশাসনের লোকজন শওকতকে আটক করবে এবং সে ফেঁসে যাবে।

এসআই ফায়েজুর রহমান আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, আকটকৃতদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

প্রসঙ্গত, ইউএনও কামরুল আহসান তালুকদারের সরকারি মোবাইল নম্বরে গত ৯ আগস্ট বিকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে ০১৮৩০-৮৪৫২৪০ নম্বর থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, সোমবারের মধ্যে বোমা মেরে তাঁর বাসভবন ও অফিস উড়িয়ে দেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত