মোস্তা‌ফিজুর রহমান,‌বেনা‌পোল

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২০:১৮

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার

ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত কার্যক্রম পরিদর্শনে ভারতের পেট্রোপোল ও যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর পরিদর্শন করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

শুক্রবার দুপুরের দিকে তিনি ভারতের পেট্রাপোল হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেন। এসময় হাইকমিশনারের বন্দর পরিদর্শন উপলক্ষে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার শওকত আলী, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জলিল, কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান, নিতিশ বিশ্বাস, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কর্মাসের সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।  

এর আগে তিনি পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্টের কাস্টমস সহকারী কমিশনার পুরান লামা, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্রসহ  ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

দু’দেশের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বাংলাদেশি হাই কমিশনারের পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে চলমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে জটিলতা ও ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দূর্ভোগ লাঘব হবে।
 
এ সময় ভারতগামী এক বাংলাদেশি যাত্রী হাইকমিশনারকে জানান, তিনি সকাল ৬টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চেকপোস্ট নোম্যানসল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। এখনও ভারতে ঢুকতে পারেননি। ভারতের পেট্রোপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ধীরগতিতে পাসপোর্টের কাজ করায় তিনিসহ হাজার হাজার যাত্রী এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

পরিদর্শনকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারী বাংলাদেশিদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন হাইকমিশনার। পরে তিনি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের বিভিন্ন অফিস ঘুরে দেখেন।

পরে হাইকমিশনার বেনাপোল কাস্টমস হাউজ অডিটোরিয়ামে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত