মোস্তা‌ফিজুর রহম‌ান, বেনাপোল

১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ২০:৫৮

বেনাপোলে রেল স্টেশন নির্মাণকাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ

খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর জন্য বেনাপোল আর্ন্তজাতিক রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি ভবন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের শাখা নির্মাণকাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে, রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলীদের দাবি সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী আনলেও তারা সেসব মালামাল ব্যবহার করবে না।

স্বরেজমিনে বেনাপোল রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে কাস্টমস ভবন নির্মাণকাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান  আফজাল এন্টারপ্রাইজ, ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ করছে ঢাকার বিল্লাল এন্টারপ্রাইজ ও জিআরপি ব্র্যাক নির্মাণ কাজ করছে ঢাকার বুলবুল এন্টারপ্রাইজ।

নির্মাণকাজে বিল্লাল এন্টারপ্রাইজ ও আফজাল এন্টারপ্রাইজের কাজে অনিয়ম অভিযাগ সবচেয়ে বেশি। রেলওয়ের প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ট্রাক ও ট্রলিতে করে নিম্নমানের বালু, আধলা ও তিন নম্বর ইট এনে খোয়া তৈরি ও ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (সেকশন অফিসার) চাঁদ আহম্মদ প্রথমে অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। পরে ছবি দেখালে তিনি বলেন, নিম্নমানের খোয়া আনলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। এছাড়া তিনি দাবি করেন, ঢালাইকাজে ভালো খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রেল ওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল জানান, তিনটি ভবন নির্মানে বরাদ্দ রয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মানে এক কোটি টাকা, কাস্টমস ভবন নির্মাণে এক কোটি ও জিআরপি ব্যাক নির্মাণে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী বছরের জানুয়ারিতে খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে ট্রেন চালু হবে। শুরুতে একটি ট্রেন সপ্তাহে একবার খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতা গিয়ে ফিরে আসবে। নতুন নির্মাণাধীন এসব ভবনে ওই ট্রেনের যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

এদিকে, ট্রেনটি চলাচলের জন্য ভারত অংশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামগত নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত