সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:৩৮

রাউধার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল যাচ্ছে ফরেনসিক বিভাগে

মডেলকন্যা নীলনয়না রাউধা আতিফের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ফরেনসিক বিভাগে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে পুলিশ। এর মাধ্যমে মৃত্যুর মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন পেলেই ঢাকা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

এদিকে, সোমবার (১০ এপ্রিল) রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ তার মেয়ের সহপাঠী কাশ্মীরের মেয়ে সিরাত পারভিন মেহমুদকে আসামি করে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সিরাত রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এই মামলার কারণে ল্যাপটপ ও মোবাইলের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।

রাজশাহী মহানগর আদালতের পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য রাউধার মোবাইল ও ল্যাপটপ ঢাকায় পাঠাতে হবে। এ অনুমতি পেতেই রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম আদালতে রোববার সন্ধ্যায় আবেদন করেন।

আবেদনটি তারা রোববার সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছেন। পরে সোমবার দুপুরে সেটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে আবেদনের শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে আদালতে শুনানি হতে পারে। রাউধার লাশ উদ্ধারের দিন তার এই মোবাইল ও ল্যাপটপ পুলিশ জব্দ করেছিল বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাউধার মৃত্যুর পরও দুয়েকদিন তার ফেসবুক ও ইনস্ট্রাগ্রাম আইডি খোলা ছিল। এরপর আইডিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন। এ জন্যই মোবাইল ও ল্যাপটপের ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ল্যাপটপ ও মোবাইলের পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে, যা মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে সহায়ক হবে বলে জানান এই ডিবির কর্মকর্তা।

গত ২৯ মার্চ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় রাওদা আতিফের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর ৩১ মার্চ তার পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত শেষে নগরীর হেতেখাঁ কবরস্থানে দাফন করা হয়। এমবিবিএস ১৩ তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাউধা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি মহিলা হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে ওঠেছিলেন তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে বিখ্যাত ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ সাময়িকীর নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সংখ্যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য্য উদযাপন’ (সেলিব্রটিং বিউটি ইন ডাইভার্সিটি) শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছিলেন মালদ্বীপের ‘নীলনয়না’ এই মডেল। উঠতি মডেল হিসেবে রাউধার ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত