ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

০৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১০:৫৯

৪র্থ শ্রেণি ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

রেজিস্ট্রি ছাড়াই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেল ঝিনাইদহ শহরের ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন গ্রাম চর মুরালিদহ গ্রামে। জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার চর মুরালিদহ গ্রামের আলম মণ্ডলের ৪র্থ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর (১৩) বিবাহ হয় হরিনাকুন্ডু উপজেলার সাধুখালি গ্রামের চতুর মণ্ডলের ছেলে জুয়েলের সাথে। অনুষ্ঠানে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের অভিভাবক উপস্থিত ছিল।

জানা গেছে, আলম মণ্ডলের বাড়িতেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামের অনেকেই বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ একথা বললে, আলম মণ্ডল মেয়েকে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানেই তার বিবাহ সম্পন্ন হয়। মেয়েটি মকিমপুর জসিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।

এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে কথা বললে সে জানায় আমার ফুপুর বাড়িতে জুয়েল নামে একটি ছেলের সাথে বিবাহ হয়েছে।

বিবাহে প্রায় ১৫ জন মত বরযাত্রী এসেছিল। কিন্তু কোন খাতা বা কাগজে স্বাক্ষর করেনি। বর কনের ফুফাতো বোনের দেবর হয়। বিয়ের ২ দিন আগে ফুপুর বাড়িতে ছেলের সাথে তার পরিচয় হয় বলে ওই স্কুলছাত্রী জানায়।

বাল্যবিবাহের প্রসঙ্গে মেয়ের পিতা আলম মণ্ডল বলেন, মেয়ে আমার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল সেখান থেকে ঐ ছেলের সাথে চলে যায়। তখন আমার বোনের স্বামী জিন্নার বাড়িতে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানালে আমি তাদের উপর ছেড়ে দেই। এই ব্যাপারে আমি দায়ী নই।

মেয়ের মা নিজেও মেয়ের বাল্য বিবাহের কথা স্বীকার করেছেন। মকিমপুর জসিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বাল্যবিবাহের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে তিনি এ বিয়ের কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মেয়েটি আমার স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী, কীভাবে তার বিয়ে হবে?

আপনার মন্তব্য

আলোচিত