সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জুন, ২০১৮ ১১:৪০

গাজীপুরে চলছে ভোট গ্রহণ, জনগণেই আস্থা হাসান ও জাহাঙ্গীরের

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নগরপিতা নির্বাচনের লড়াই চলছে। জিসিসি নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী জনগণের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। জনগণ যে রায় দেবে তারা তা মেনে নেবেন।

আজ সকাল ৮ টা থেকে ৫৭টি ওয়ার্ডে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সিটি মেয়র নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।

সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে হওয়া এক ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথম এই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এর ফল প্রভাব ফেলবে জাতীয় রাজনীতিতে। এই নির্বাচনের উপরই অনেকটা নির্ভর করছে আগামী ৩ সিটি নির্বাচনে বিএনপি কি সিদ্ধান্ত নেবে।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানিয়েছেন, উৎসবের আমেজে ৪২৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের ভোট প্রদান করেছেন।  আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জয়দেবপুরের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার টঙ্গির আইচপাড়া এলাকায় বসির উদ্দিন উদয়ন একাডেমি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।

হাসান সরকার বলেন, ‘‘আমি রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, আপনাদের নির্দেশ থাকার পর কেন আমার পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তখন সিইসি আমাকে বলেছেন, ‘আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।’’

এদিকে, ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে যে রায় দেবে,  সেই রায় আমি মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। জয়কে জয় আর পরাজয়কে পরাজয় মেনে নিতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, গাজীপুরের মানুষ আমাকে ভোট দেবে। গাজীপুরে নৌকার বিজয় আনতে পারবো বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।’

নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে গাজীপুরে ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রায় ১২ হাজার র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৫৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও সংরক্ষিত আসনে ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি এবং অতিরিক্ত একটিসহ মোট ৫৮টি টিম মোতায়েন থাকবে। প্রতি দুইটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া পুলিশ এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সমন্বয়ে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৮টি মোবাইল ফোর্স, ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত