সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুন, ২০২১ ১৩:৩০

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৬৬ দশমিক ০৭ শতাংশ

চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। শনিবার (১২ জুন) ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার হার ৬৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২২ জন।

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৩৭ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন, আলমডাঙ্গায় তিনজন, দামুড়হুদায় ২০ জন ও জীবননগরে ১২ জন রয়েছেন।

বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী ২৬৫ জন। তাদের মধ্যে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন ২২৪ জন, হাসপাতালে আছেন ৩৮ জন এবং বাকি তিনজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৯ জন, দামুড়হুদায় ৪৯৮ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৮৫ জন ও জীবননগরে ২৫০ জন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, শনিবারের ফলাফলের মধ্যে জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের হার। এ ছাড়াও জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স এবং পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। অক্সিজেনেরও কোনো সংকট নেই।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬ জুন জেলায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।,৭ জুন ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে, ৮ জুন ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা ফলাফল পজিটিভ আসে, ৯ জুন ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে, ১০ জুন ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের করোনা ফলাফল পজিটিভ আসে, ১১ জুন ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের পজিটিভ আসে এবং সর্বশেষ ১২ জুন ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের পজিটিভ এসেছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন,  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হোম আইসোলেশনে আছেন, তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানোসহ লকডাউন করা হচ্ছে। চারটি উপজেলার মধ্যে দামুড়হুার সীমান্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার সব থেকে বেড়েছে। এ জন্য উপজেলার ডুগডুগি ও নাটুদহ পশুর হাট বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দামুড়হুদার বেশ কয়েকটি গ্রামে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ওইসব গ্রামের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে ও চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চুল কারাখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত