নজমুল আলবাব

১৯ মে, ২০২০ ১৫:৩৬

রণেশ ঠাকুরের পুড়ে যাওয়া বাদ্যে শাহ করিমের স্পর্শ লেগেছিল

আশাবাদী কথা আর গানে ভেসে যাচ্ছে বিশ্ব চরাচর। আবার যখন সব ঠিক হয়ে যাবে মানুষ এই করবে সেই করবে। সবাই একেবারে ফেরেশতা হয়ে যাবে।

এসব গোল গোল কথা আমি বিশ্বাস করিনা। এমনকি যে বা যারা এসব বলছে, তারাও বিশ্বাস করেনা। ফেসবুকতন্ত্রী বাংলাদেশে তো বিশ্বাস করার কোন সুযোগই নেই।

বিজ্ঞাপন

গত পনেরো দিন বা এক মাসের হিসাবটা করুন। তারপর দেখুন আমাদের অপরাধের মাত্রা। মানুষ ফেরেশতা হয়ে যাবে এই অদ্ভুত ভাবনা যে আঁকড়ে আছে বা থাকবে, তার সুস্থতা নিয়েই আমি সন্দিহান।

আমাদের রণেশদার গানের ঘরটা জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মহামারি, খুন, জখম, মারামারি, ধর্ষণের খবরে টালমাটাল বাংলাদেশে এ কোন খবরই না। কিন্তু যারা করোনার কাল শেষে সবকিছু বদলে যাবে বলে লাইক কুড়চ্ছেন রোজ, তাদেরকে বলি, আপনাদের জন্য এই খবর হয়তো কিছুই না। আমাদের জন্য বিরাট ধাক্কা। রণেশদা আমাদের গানের মানুষ। আমাদের মায়ার মানুষ। আমাদের মাটির মানুষ। আমাদের আব্দুল করিমকে ধারণ করা মানুষ হলেন এই রণেশ ঠাকুর। তাঁর বাদ্যযন্ত্রে করিমের স্পর্শ লেগেছিলো...

এওতো এক ধরণের নাধাইর গীত গাইছি আমি। আসলে করিম কিংবা রণেশ গুরুত্বপূর্ণ না এখানে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, গানকে পুড়িয়ে দেওয়া। কবিতা, নাটক, মুক্তমতকে পুড়িয়ে দেওয়াটাই আসল খবর।

বাংলাদেশ বদলাবেনা। বাংলাদেশ আরও পেছনে হাঁটবে। ভণ্ড হেজাবে মোড়ানো বাংলাদেশে ফসলের সুসম বণ্টন হবেনা কোনদিন। "মোড়ক খুলে রাখলে চকলেটে পিপড়া বসবেইতো" চর্চা করে তৈরি হবে আগামীর মনন। যেখানে গানের ঘর বলে কোনকিছু কল্পনা করাও যাবেনা।

রণেশ ঠাকুর, এখনও সময় আছে, বাতাবিলেবু চাষ করতে শিখুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাতাবিলেবুর উন্নয়নে সদা সচেষ্ট থাকেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত