সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০১ মার্চ, ২০২১ ২১:১৭

ধর্ষক-খুনির জামিন হয়, লেখার জন্য কেন হয় না- প্রশ্ন গোলাম রব্বানীর

গোলাম রব্বানী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীন অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমদের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন গোষ্ঠি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও আরও জোরালো হয়েছে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীও কারাগারের ভেতরে বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন জরুরি বলেও মত তার।

লেখা কিংবা আঁকার জন্য মানহানি বা কোন অনুভূতি আঘাতের মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কেন জামিন পান না এনিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রব্বানী।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া গোলাম রব্বানী সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন-

দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক, ডাকাত, খুনি সবার জামিন হয়, অনেকক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে ভয়াবহ অপরাধীর আগাম জামিন হয়, আর লেখা কিংবা আঁকার জন্য মানহানি বা কোন অনুভূতি আঘাতের মামলায় বারবার আর্জি জানিয়েও জামিন মেলে না! হায় সেলুকাস!!


বিচার বিভাগ কি আদৌ স্বাধীন? মনমতো না হলেই নানাবিধ উপায়ে উপর্যুপরি প্রেশার! বিচারক ও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বদলি, প্রমোশন, বোনাস, পেনশন সবকিছুই যদি আইন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ 'এক্সিকিউটিভ' অর্গানের হাতে থাকে তাহলে 'জুডিশিয়ারি' কিভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করবে?


আর হ্যাঁ, কোন আইনে যখন দমন-পীড়নে বা কোন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার হওয়ার নূন্যতম সুযোগ থাকে, তখনই সেটা কালো আইনের তকমা পেয়ে যায়! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিশেষ কিছু ধারা সংশোধন ও পরিমার্জন অত্যন্ত জরুরি।

রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন সংস্থা বা অর্গান স্বীয় কর্মকাণ্ডের জন্য দায়মুক্ত হতে পারে না! জেল হাজতে যেকোনো মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত