
০৩ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৮
"মারি অরি পারি যে কৌশলে"- এটা কোনো রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না। অথচ মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা যেত রাষ্ট্রীয় প্রতীক অসম্মান করার কারণে, সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ডে, গণভবন গুড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে, রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকের অনুভূতিকে সম্মান না করে জাতীয় গণমাধ্যমে বিবৃতির জন্য সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় কিংবা মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন বয়ানের জন্য।
একজন মানুষের পরকীয়া বা প্রেমিকা নিয়া হোটেলে যাওয়া কোন অপরাধ নয়। অন্তত রাষ্ট্রের কাছে নয়। কিন্তু অতীতেও আমরা দেখেছি পুলিশ অতিউৎসাহী হয়ে হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ নাম দিয়ে গ্রেপ্তার করে। এধরণের গ্রেপ্তার সংবিধানে দেয়া নাগরিক অধিকার পরিপন্থী।
তবে যেহেতু মামুনুল হকেরা ইসলামের নামে মানুষের প্রেম প্রীতি বিরোধী বক্তব্য দেন এবং নরনারীর প্রেমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন তাই যে নীতি পুলিশেরা এই ভিডিও ধারণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষ মাত্রই তার মধ্যে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা থাকবে। নর এবং নারীর অবাধ মেলামেশাই প্রকৃতির রীতি। যার যাকে ভালোলাগে সে তার সাথে কমিটমেন্ট রাখবে। কমিটমেন্ট ব্রেকের মামলা করতে পারবে শুধুই কমিটমেন্টকারী অপর পক্ষ, কখনোই রাষ্ট্র নয়। তাই মামুনুলকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হোক।
বাংলার জয় হোক মাতৃভাষার জয় হোক মানুষের জয় হোক।
সত্যজিত চক্রবর্তী : চিত্রশিল্পী।
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)
আপনার মন্তব্য