সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০২৩ ০২:১৬

‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে সরকারি কর্মচারীর দম্ভ, পরে স্ট্যাটাস প্রত্যাহার

‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে তোলপাড়ের মাঝে বিতর্কিত এক মন্তব্য করে বসলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার প্রশাসনের এক কর্মচারী

উপজেলার সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বাবুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দম্ভ করে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ফেসবুকে ‘কবি বাবুল’ নামে তার ব্যবহৃত আইডিতে তিনি লিখেছেন, ‘যিনি হাজার বার চেষ্টা করেও সরকারি চাকরি পাননি, তাদেরই স্যার বলতে কষ্ট লাগে। সরকারি চাকরি পেতে কত কষ্ট, নিয়ে দেখুন।’

তার এই স্ট্যাটাস ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর তিনি সেটা ফেসবুক থেকে মুছে দেন। শনিবার রাত আটটার পর তিনি ফেসবুকে নতুন এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমার স্টাটাস কাউকে আঘাত বা কষ্ট দেবার জন্য ছিল না, তার পরও দুঃখ প্রকাশ করছি ও স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করলাম।’

‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে ফেসবুকে দাম্ভিকতাপূর্ণ স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকেই তুচ্ছ করে আমাকে ফোন করে চাকর বলে। এ জন্য বলছি চাকরি না হলে কত কষ্ট…। এই কারণে বলছিলাম।’

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে তোলপাড়ের সময়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার বলেছেন, ‘আপা-ভাই ডাকলে মাইন্ড করার কিছুই নেই। কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকতে হবে, এমন নীতি নেই।’

টাঙ্গাইল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের সেবক। সবাইকে এটা মানতে হবে। আমাদের কাজ সেবা দেয়া। আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের চাকর।’

উল্লেখ্য, ‘স্যার না বলায়’ রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ক্ষুব্ধ আচরণ করেছেন—এমন অভিযোগ তুলেছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও শুরু করেছিলেন। প্রতিবাদের মুখে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে সরকারি চাকরিজীবীদের ‘স্যার’ ডাকা না–ডাকা নিয়ে ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত