২৩ জুলাই, ২০১৬ ১৯:৪৬
জার্মানির মিউনিখে শপিংমহলে সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন মিডিয়ার লাইভ কাভারেজের বিষয়টি উল্লেখ করে সাংবাদিক ফজলুল বারী প্রশ্ন তুলেছেন, গুলশানে হামলার লাইভ কাভারেজ নিয়ে কেনো প্রশ্ন তোলা হলো। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ প্রশ্ন তুলেন তিনি। মিডিয়ার এমন সমালোচনাএক ধরনের অক্ষমের আর্তনাদ বলেও মন্তব্য করেন বারী।
ফেসবুকে ফজলুল বারী লিখেন-
জার্মানির মিউনিখের শপিংমলে সন্ত্রাসী হামলার লাইভ কভারেজ দেখছিলাম নানান আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। এসবই কিন্তু মিডিয়া তথা নিউজ চ্যানেলগুলোর কাজ। এসব পরিস্থিতিতে তারা তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে হলেও এসব লাইভ দেখায়। কারন হাতে সময় থাকলে উদ্বিগ্ন দর্শকরা সর্বশেষ খবর জানতে এমন পরিস্থিতিতে টেলিভিশন খুলে বসে থাকেন। কিন্তু গুলশানকান্ডের সময় দেখা গেল এসব সম্প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে! কেন তখন চটজলদি মোবাইল সার্ভিস বন্ধ করা হলো না তা নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন! পার্লামেন্টে একজন প্রশ্ন রেখে বলেছেন কেন সিএনএন তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে এসব দেখালো, তাদের স্বার্থ বোঝেন না! এসব কিন্তু এক ধরনের অক্ষমের আর্তনাদ! যার যার কাজ ঠিকমতো করুন। মিডিয়ার কাজ মিডিয়াকে করতে দিন। বাংলাদেশের সামরিক যুগে দেশের খবর জানতে মানুষ বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকার নিউজের অপেক্ষায় বসে থাকতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় চুপিসারে শুনতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বা আকাশবানীর খবর। কিন্তু এখন গণতান্ত্রিক সময় বলে মানুষ বিদেশি মিডিয়ার চাইতে দেশি মিডিয়ায় ওপরই আস্থা রাখতে চায়। কাজেই মিডিয়াকে মুখস্ত দোষারোপ না করে যার যার দায় নিয়ে ভাবুন। নিজেদের গোয়েন্দা ব্যর্থতাসহ নানাকিছু আত্ম জিজ্ঞাসায় এনে কাজ করলে দেশ উপকৃত হবে। মিডিয়াকে আস্থায় রেখে কাজ করলে নিজেদের কাজগুলো সহজ হয়ে আসবে। জংগী সমস্যা সহ নানা উপদ্রবের বিরুদ্ধে জনমত আরও সুসংহত হবে। আমেরিকার বারাক ওবামাও তাই করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জামার্নির মিউনিখে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হন।
আপনার মন্তব্য