সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:৫৬

প্রধানমন্ত্রী, প্লিজ মানুষের আর পথ আটকাবেন না

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পথে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার কারণে রাজধানীন বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীর।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার আয়োজন করলে তা রাস্তায় না করে মিলনায়তনে করার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হবে না বলে অভিমত তাঁর।

শুক্রবার রাতে ফজলুল বারী ফেসবুকে লিখেন-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ ও কানাডা সফর শেষে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হজ করার খুশিতে সম্প্রতি দেশে ফিরে সম্বর্ধনা নিয়েছেন! এই দু'জন বাংলাদেশের প্রধান দুই নেত্রী। আমাদের মতো ইনাদেরও দেশ বাংলাদেশ। নিজের দেশে ফিরে কেন তারা বারবার সম্বর্ধনা নেন বা তাদের নিতে হয় এই বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার।

কারণ প্রতিটি সম্বর্ধনা উপলক্ষে তারা দেশের মানুষকে বিশেষ করে ঢাকার মানুষকে বিস্তর কষ্ট-ভোগান্তি দেন। যানজটে নাকাল হয় ঢাকাবাসী, তাদের শ্রমঘন্টার অপচয়, যাতায়াত খরচ বাড়ে, রোগীরা কষ্ট পায়। তাই দেশের প্রধান দুই নেত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, এই বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবুন।

প্রতিবেশি ভারতসহ এমন একটি সভ্য-ভদ্র দেশ দেখান যে দেশের সরকার প্রধান বিদেশ সফর বা হজ সফর শেষে দেশে ফিরে এভাবে সম্বর্ধনার নামে রাজধানীর মানুষকে কষ্ট দেন! সম্বর্ধনা নিতে ইচ্ছে করে কোন একটি মিলনায়তনের ভিতরে সারাদিন ধরে নিন। কিন্তু মানুষের পথ আটকে যানজটে মানুষকে নাকাল করে নয়। কিন্তু তা রাস্তা আগলে নয়। কারণ এটি গণতন্ত্রের জন্যে অপমানকর-জুলুমবাজি। এসব সম্বর্ধনায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কতো টাকা ব্যয় হয়, এই টাকাতে আরও কতো কিছু করা সম্ভব হতো তা কী কেউ কোনদিন ভেবে দেখেছেন? আমার ধারনা যে নেত্রী সবার আগে জন-হয়রানিমূলক এ ধরনের সম্বর্ধনার বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে অবস্থান নেবেন তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।

আর যদি বলে বসেন, 'হেই দিন অমুকে সম্বর্ধনা নিলো কিছু হলোনা, এখন আমি নিলেই দোষ', তাইলে কিন্তু খবর আছে।

মানুষের সময়-শ্রমঘন্টা বাঁচাতে, চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে আমি বাংলাদেশে রাস্তা বন্ধ করে সভাসমাবেশের বিরুদ্ধে। পহেলা বৈশাখ, ছাব্বিশে মার্চ, ষোল ডিসেম্বর উপলক্ষে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সভা-মিছিলের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। আবারও অনুরোধ করছি প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রোগ্রামগুলো আপনার অফিসে বা বাসায় করুন। অথবা যাতায়াতের জন্যে হেলিকপ্টার কিনুন। কিন্তু প্লিজ, মানুষের আর পথ আটকাবেন না। এতে করে ত্যক্ত-বিরক্ত মানুষ কোন দিন ফুঁসে উঠে বিদ্রোহ করে বসতেই পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত