যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা

০৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০২:৪৯

যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চাইনি, সরকার ও গণমাধ্যম ভুল ব্যাখ্যা করেছে: অ্যামনেস্টি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী)ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মুক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে তাদের বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলা গণমাধ্যমগুলো।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) লন্ডনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কার্যালয়ে বাংলা সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এ ব্যাখ্যা দেয় তারা।

গত ৩১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লন্ডনে বাংলা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে এর ব্যাখ্যা দিলো।

তাদের অভিযোগ, তাদের মন্তব্য ভুলভাবে প্রচার করছে বাংলাদেশের সরকার ও গণমাধ্যম।

সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সাউথ এশিয়ান ডিরেক্টর অব রিচার্স ডেভিড গ্রিফিথ ও ডেথ পেনাল্টি বিষয়ক উপদেষ্টা চিয়ারা সানগিওরজিও।

আব্বাস ফয়েজ বলেন, আমরা কোনো অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চাইনি। আমরা শুধু বলেছি, বিচারটি যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিয়মকানুন মেনে হয়।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি একটি মানবাধিকার সংগঠন। বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেখানেই আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

অ্যামনেস্টি মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চায়নি উল্লেখ করে এ বিষয়ক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আব্বাস ফয়েজ বলেন, আমরা বলেছি, মুক্তিযুদ্ধকালে যারাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরই বিচার হওয়া উচিত। এমনকি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও এ অপরাধী থেকে থাকে।

তিনি বলেন, আমাদের পুরো বিবৃতিটি বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে। আশা করি, আমাদের আজকের ব্যাখ্যার পর এ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক আর থাকবে না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী উল্লেখ করে আব্বাস ফয়েজ বলেন, শুধু বাংলাদেশের অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী নয়, বিশ্বের সব দেশের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বিষয়ে আমাদের এ আপত্তি।

বাংলাদেশ আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, এর বিরোধিতা করা একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জেনেভা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আমরা এ দাবি করতেই পারি। এ সময় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত