২১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:০২
‘শিক্ষা-সংস্কৃতি-ভাষার মর্যাদা রক্ষায় একুশের চেতনায় জেগে উঠো বিশ্ব তারুণ্য’ এই স্লোগানে ‘বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ফ্রান্সে’র উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হল দিনব্যাপী একুশে বইমেলা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ফ্রান্সের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জামিরুল ইসলাম মিয়া।
‘একুশের চেতনা ও বর্তমান বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় যুব ইউনিয়ন ফ্রান্স কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট রমেন্দু কুমার চন্দ্রের সভাপতিত্বে এবং ফাহাদ রিপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক কবি আমীরুল আরহাম , বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- ফরাসি লেখক ও ইতিহাসবিদ Madame Liesel Schiffe এবং কবি ও আবৃত্তিশিল্পী রবিশংকর মৈত্রী । প্রধান বক্তা ও বিশেষ বক্তা হিসাবে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন- যথাক্রমে যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল ও যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আদনান রিয়াদ।
অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- যুব ইউনিয়ন যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ইফতেখারুল হক পপলু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক তানভীর সরকার শাওন, বাংলাদেশ তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম, জবরুল আহমদ চৌধুরী লিটন, ম্যাডাম ক্লেয়ার, বাবলু হোসেনসহ যুব ইউনিয়ন ফ্রান্স কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা প্রতিবছর ফ্রান্সে বইমেলার মতো এমন একটি আয়োজনের জন্য যুব ইউনিয়নের প্রশংসা করেন। প্রবাসে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্য পরিচয় করে দিতে ও বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে এধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও হেড অফ চেনসরী হযরত আলী খান, মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী শাহাদাত হোসেন, চিত্রনির্মাতা প্রকাশ রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসনাত জাহান, বাসদ সমর্থক ফোরামের আয়মান মাসুক, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ, কণ্ঠশিল্পী আরিফ রানা, কুমকুম সাঈদা সহ কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
তাছাড়া এবার দুজন ফ্রান্স প্রবাসী লেখকের নতুন দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তারা তাদের পছন্দের লেখকের বই কিনেছেন। তাছাড়াও ফ্রান্স প্রবাসী কয়েকজন লেখক নতুন প্রকাশিত বইসহ স্টলে দেখা গেছে। তাদের একজন জানালেন এবারের মেলায় তাঁর নতুন প্রকাশিত বইয়ের বিক্রি বেশ ভালই হয়েছে।
শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল একুশের গান, দেশাত্মকবোধক গান, নৃত্য ও আবৃত্তি। পরিবেশন করেন যুব ইউনিয়নের শিল্পীবৃন্দ , ফ্রেঞ্চ বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্থানীয় শিল্পীরা।
আপনার মন্তব্য