রাবি প্রতিনিধি

১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:২৮

রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ছিনতাইয়ের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে(রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের আটকের দাবিতে রাত পৌনে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সড়কের দুপাশে যানবাহন আটকে দেয়। রাত সোয়া ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছে।

মারধরের শিকার ফিরোজ আনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তৎক্ষণাৎ তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক পৌনে ৮টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান মাঠের দক্ষিণ পাশে চেঁচামেচি শুনে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেদিকে এগিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ফিরোজকে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নেয়া হয়।

অর্থনীতি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ফিরোজকে ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ওটিতে নেওয়া হয়েছে। তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিরোজ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তা দিয়ে তার বান্ধবীকে হলে এগিয়ে দিতে যাচ্ছিল। এসময় মোটর সাইকেলে করে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদেরকে হবিবুর মাঠে নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল বা টাকা পয়সা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার তার মাথায় আঘাত করা হয়।

এদিকে, দুর্বৃত্তদের ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করছে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী আব্দুর মজিদ অন্তর বলেন, ভর্তি পরীক্ষার কয়েকদিন আগে এমন ঘটনায় শিক্ষাঙ্গন কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আমরা এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদেরকে দ্রুত আটক করার দাবি জানাই। এসময় প্রক্টর এসে দুর্বৃত্তদেরকে দ্রুত আটকের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। আটক না করা পর্যন্ত অবরোধ জারি রাখার ঘোষণা দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ফিরোজকে আহতাবস্থায় রামেকে নেয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর দুর্বৃত্তদেরকে ধরতে পুলিশ, গোয়েন্দাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা তৎপর রয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বহিরাগত না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা এখনও জানা যায়নি। তবে তারা ছিনতাই করতে আসেনি। ছিনতাই করলে তারা টাকা পয়সা কেড়ে নিতো। কিন্তু সেটাও করেনি। মাথায় আঘাত করেছে। তবে কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে নয়। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কোনো ধরনের প্রমাণ পায় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত