নিউজ ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪ ২২:২৪

দেশটাকে পরিষ্কার করি দিবস-২০১৪’র পরিবর্তিত তারিখ ৩ জানুয়ারি

হরতালের কারণের তারিখ পেছাল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩ জানুয়ারি ২০১৫

তথ্য-সূত্র : সাড়া জাগানো ফেসবুক ইভেন্ট লিংক- দেশটাকে পরিষ্কার করি দিবস- ২০১৪

 

ফেসবুকে সাড়া জাগানো ইভেন্ট দেশটাকে পরিষ্কার করি দিবস-২০১৪র পরিবর্তিত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ জানুয়ারি ২০১৫। পূর্বঘোষিত তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ কিন্তু দেশব্যাপি জামায়াতে ইসলামির আহুত হরতালে কর্মিদের জীবনের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে আয়োজকেরা তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জনসচেনতা সৃষ্টির জন্যে এই ইভেন্টের আয়োজন করেছে ফেসবুক পেইজ পরিবর্তন চাই

 



আয়োজকদের ফেসবুক ইভেন্ট থেকে জানা যায়, কেবল রাস্তায় খেয়ালে-বেখেয়ালে ফেলা ময়লাগুলো পরিষ্কার করে সেগুলো ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলা তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। এই অভিযানের সময় নির্ধারণ হয়েছে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা এবং পরিষ্কারের টার্গেট হচ্ছে  বাদামের খোসা সহ অন্যান্য খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, খাবারের প্যাকেট, কাগজের টুকরা, টিস্যু, সিগারেটের টুকরা ইত্যাদি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন গাছের পাতা বা ধুলা বালি পরিষ্কার করা এ অভিযানের উদ্দেশ্য  নয়। 

 



অভিযানের বর্ণনায় বলা হয়েছে, সারা দেশে অভিযানটি এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে অভিযানগুলো শেষ হয় সিটি কর্পোরেশন বা ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে। ক্লোজিং পয়েন্ট গুলো নির্দিষ্ট করার পর সেগুলো থেকে ২-৩ কি.মি দুরত্বের অন্য কোন বিশেষ স্থান বা স্থাপনার সামনের জায়গাকে অভিযান শুরুর স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। একটি এলাকায় একাধিক দল পাওয়া গেলে প্রত্যেকে যতটুকু সম্ভব ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান শুরু করবেন।


একটি জোনের প্রত্যেকটি দল আলাদা আলাদা রুটে অভিযান চালিয়ে একটি নির্ধারিত স্থানে একত্রিত হবার পর সংক্ষিপ্ত ক্লোজিং অনুষ্ঠানের পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করবেন।



সকাল ১১:০০ টায় প্রতিটি স্থান থেকে উপস্থিত দলগুলো একসঙ্গে থেকে ব্যানার সহকারে একটির পর আরেকটি করে যাত্রা শুরু করবেন। ব্যানার এর সঙ্গে ৫ জন করে সদস্য থাকবেন। কয়েকজন সদস্য গার্বেজ ব্যাগ হাতে রাখবেন। কয়েকজন ঝাড়ু বা অন্যান্য টুল দিয়ে ময়লা সংগ্রহ করতে থাকবেন। বাকীরা গ্লাভস পড়া হাতে করেই ময়লা সংগ্রহ করতে থাকবেন। আর ময়লা সংগ্রহের মাঝে মাঝে সবাই অবশ্যই যে কাজটি করবেন সেটা হলো পথচারী ও দোকানদারদের সংঙ্গে কথা বলে তাদের রাস্তায় ময়লা না ফেলতে উৎসাহিত করা। 


এভাবে যেতে যেতে পথিমধ্যে অন্তত ২-৩ টি উপযুক্ত চাররাস্তার মাথায় বা মার্কেটের সামনে থেমে সভার মতো করে একটু সময় নিয়ে ভাল করে পরিচ্ছন্ন করে এবং বেশী সংখ্যক দোকানদার ও পথচারীর সাথে কথা বলে এবং মাইকে তাদেরকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করাতে পারলে খুব ভাল হবে। 


সবশেষে ক্লোজিং স্টেশনে পূর্বনির্ধারিত স্থানে সবাই একসাথে হয়ে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা বানী ও মতামত শুনে এবং স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করে এবং সকল সংগৃহীত আবর্জনা উপযুক্ত নিস্কাশন নিশ্চিত করে অভিযানের সমাপ্তি টানবেন।


এই অভিযান এক দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখতে আয়োজকদের দৃষ্টি ছিল। তাই তারা জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন যার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারি।



ইভেন্টের বর্ণনায় বলা হয়েছে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে তারা যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে রয়েছে


১. আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রধান রাস্তা প্রায় প্রতিদিন সকাল বেলা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, যেটা পৃথিবীর অনেক দেশেই হয়না। তবুও আমাদের প্রায় প্রতিটি রাস্তা আবর্জনা পুর্ন থাকে। এর একটিই কারন, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলি আর পৃথিবীর বেশীর ভাগ দেশের মানুষ রাস্তায় ময়লা ফেলে না। আমরা যদি আমাদের রাস্তাগুলোতে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেই, কেবল তাহলেই আমাদের রাস্তাগুলো পরিচ্ছন্ন থাকবে।



২. পথচারীরা ও যাত্রীরা রাস্তায় বা গাড়িতে খেয়ে উচ্ছিষ্টাংশ ও প্যাকেটগুলো বা টিস্যু ব্যবহার করে রাস্তায় ফেলে না দিয়ে যদি ডাস্টবিন অথবা বিভিন্ন দোকানে থাকা ময়লার ঝুড়িতে ফেলেন, তাহলে রাস্তাঘাট অনেক পরিষ্কার থাকে।


৩. কোন স্থানে যদি ডাস্টবিন পাওয়া না যায়, পথচারী ও যাত্রীরা যদি তাদের ময়লাগুলো প্রয়োজনে কাগজ বা অন্য কোন কিছু দিয়ে মুড়িয়ে নিয়ে পকেটে বা ব্যাগে রেখে দেন এবং পরবর্তীতে যখন ডাস্টবিন পাওয়া যাবে, সেখানে ফেলেন, তাহলেও রাস্তা ময়লা হয়না।


৪. দোকানদাররা যদি সকালের বদলে রাতে দোকান ঝাড়ু দিয়ে ময়লাগুলো নির্ধারিত ডাস্টবিনে অথবা অন্তত প্যাকেট করে দোকানের বাইরে রেখে দেন তাহলে সকাল বেলা রাস্তার ঝাড়ুদাররা সেগুলো সংগ্রহ করে নিতে পারেন। কিন্তু সকালে ঝাড়ু দিলে সারা দিনই রাস্তাটি ময়লা হয়ে থাকে।


৫. দোকানদাররা নিজেদের ব্যবহারের জন্য এবং বিশেষ করে ক্রেতা ও পথচারীদের জন্য যদি দোকানের সামনের দিকে একটি ডাস্টবিন রাখেন, তাহলে তাদের দোকানের সামনের জায়গাটা পরিচ্ছন্ন থাকে।


ইভেন্টের গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বাংলাট্র্যাক, ওয়াটারএইড, কিউবি, সূর্যমূখী, ওয়ার্ল্ড ভিশন। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে চ্যানেল আই, দৈনিক ইত্তেফাক, রেডিও ফূর্তি, বাংলানিউজ২৪ ড কম এবং নিউ এইজ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত