ডেস্ক রিপোর্ট

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২১:২৬

সংলাপ হবে না, আত্মসমর্পণ করুন: ১৪ দল

বেগম খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের নেত্রী আখ্যায়িত করে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বলেন সন্ত্রাসবাদের নেত্রীর সঙ্গে কোন ধরণের সংলাপ হবে না। বক্তারা বিশ দলের নেতৃবৃন্দকে আত্মসমর্পণ আহ্বান জানান। 

হরতাল-অবরোধের নামে দেশজুড়ে ২০ দলীয় জোটের সহিংতার প্রতিবাদে রাজধানীজুড়ে ‘শান্তির স্বপক্ষে মানববন্ধন’ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। দেশব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে এ মানববন্ধনে অংশ নেন ক্ষমতাসীন জোটের নেতাকর্মীরা।

গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিশাল এ মানবপ্রাচীরের ১৩টি স্পটে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মাববন্ধনের বক্তৃতায় ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, প্রচলিত আইনে জঙ্গি তৎপরতা না দমানো না গেলে, নতুন আইন করতে হবে। সে আইনে জঙ্গিবাদীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখতে হবে। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তারা আরো বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের নেত্রী। তার সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। তবে নি:শর্ত আত্মসমর্পনের সুযোগ আছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মজিবুল হক প্রমুখ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মানুষ হত্যা ও জঙ্গিবাদের নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করে ১৪ দলের সমন্বয়ক মো. নাসিম বলেন, পেট্রলবোমার বিরুদ্ধে মানবতার শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। একাত্তরের ঘাতকদের যেভাবে পরাজিত করেছি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদেরও সেভাবে পরাজিত করব।

রাসেল স্কয়ার থেকে ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত মানববন্ধনের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূহ উল আলম লেনিন, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু সাইদ মাহমুদ স্বপন, অসীম কুমার উকিল, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, মাহজাবীন খালেদ, তারানা হালিম, সাবেক তথ্য কমিশনার জমির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা সিটি থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ের মোড় পর্যন্ত মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শামসুল হক টুকু প্রমুখ। মৎস ভবন থেকে কদমফুল ফোয়ারা পর্যন্ত অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত