সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ১৫:৫২

তবে কী লাভ হলো জামায়াত-শিবিরকে দমিয়ে?

কী লাভ হলো জামায়াত-শিবিরকে দমিয়ে? তাদের কাজ তো হেফাজতই করে দিচ্ছে। একদিকে জঙ্গি নিধন করা হচ্ছে, অন্যদিকে জঙ্গি উৎপাদকদের আস্কারা দেওয়া হচ্ছে।- ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেছেন লেখক স্বকৃত নোমান।

সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন নোমান।

স্ম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সাথে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। একে মৌলবাদীদের সাথে আপোস বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

এসব বিষয়ে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে স্বকৃত নোমান লিখেন-

প্রত্যেক কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীকে যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। এখন চুপ করে থাকার সময় নয়। গল্প-কবিতা-উপন্যাস লিখে প্রতিবাদ করবেন? ঐ সান্ধ্য ভাষা রাষ্ট্র বোঝে না। জনগণ বোঝে না। কথা বলতে হবে স্পষ্ট ভাষায়। প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে। স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনারা জাত সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকাচ্ছেন। মাথাটি দেখতে পাচ্ছেন না। ক্ষমতার সুখে এখন তারা বুঁদ। ধাক্কা মেরে তাদের জাগিয়ে দিতে হবে।

দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে এভাবে ইজারা দিয়ে দেওয়া যায় না। কদিন পর হয়ত শুনতে হবে ইসলামি কবিতা লিখতে হবে, ইসলামি উপন্যাস লিখতে হবে, ইসলামি গল্প লিখতে হবে, ইসলামি নাটক বানাতে হবে। অবস্থা সেদিকেই যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এই ছিল না। বঙ্গবন্ধু এই কারণে জীবনের সিকিভাগ সময় কারাভোগ করেননি।

কী লাভ হলো জামায়াত-শিবিরকে দমিয়ে? তাদের কাজ তো হেফাজতই করে দিচ্ছে। একদিকে জঙ্গি নিধন করা হচ্ছে, অন্যদিকে জঙ্গি উৎপাদকদের আস্কারা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের ভেতরে ইঁদুর ঢুকে গেছে। কুটকুট করে কাটছে। বাণিজ্য মেলা রাত দশটা পর্যন্ত চলতে অসুবিধা নেই, পয়লা বৈশাখ চললে অসুবিধা। জুজুর ভয় দেখিয়ে সব ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অবস্থা কিন্তু ভয়াবহ। টের পাওয়া যাচ্ছে না। যাবে আরো কিছুদিন পর, যখন আর কিছুই করার থাকবে না। এখনই তাই প্রতিবাদের সময়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত