সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ১৭:৩৮

তুফান নিশ্চয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নামেই স্লোগান দিত?

বগুড়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ওই ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় দেশজুড়েই সমালোচনা চলছে। ধর্ষকদের বিচার চেয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এ ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মামুন সোমবার তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন-

'তুফান' মেইলের ছবিটা দেখি পত্রিকা আর টিভিতে, তার হ্যান্ডকাপ পরা তরুণ ক্যাডারদের সঙ্গে। অন্যরা একটু লজ্জিত, নিজেকে যতটা সম্ভব লুকাতে ব্যস্ত। কিন্তু তুফান তেমন নয়। মাথামোটা, মোটাসোটা, ক্ষমতা মদমত্ত এ ছেলেটি তাকিয়েই আছে ক্যামেরার দিকে।

এ দেশের জন্ম তো হয়েছিল এর জন্যই, এদের জন্য। এরা এইসব করে বেড়ানোর জন্যই মানুষ প্রাণ দিয়েছিল অকাতরে। আচ্ছা, তুফান নিশ্চয় 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'র নামেই স্লোগান দিত?

এদিকে তার গডফাদার (নাকি গডমাদার) দেখছি ফ্যাশনদুরস্ত হিজাবি। তিনি আবার জনপ্রতিনিধি একজন। কতটা নির্বাচিত কে জানে। তবে ঠিকঠাক নির্বাচন হলেও আমরা তার মতো প্রতিনিধিই নির্বাচন করব। সংখ্যাগুরুর ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুটোই একযোগে রক্ষা করবেন এরা। আমরাও নিশ্চিন্ত থাকব।

কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি

আক্রান্ত ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, কলেজের ভর্তি করিয়ে দেওয়ঢার আশ্বাস দিয়ে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (পরে বহিস্কৃত) তুফান সরকার তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে তাদের মা-মেয়েকে বাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন তুফানের স্ত্রী আশা, স্ত্রীর বোন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকি ও তার মা রুমি ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতন করেন।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে তুফান, রুমকি ও আশাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার মামলা করেন মেয়েটির মা। শুক্রবার রাতেই পুলিশ মূল আসামি তুফান, তার সহযোগী রূপম, আলী আজম ও আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। আর রোববার গ্রেপ্তার করা হয় কাউন্সিলর  রুমকি ও তার মা রুমিকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত