সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০১:৫৭

আগামী প্রজন্ম কীভাবে চিহ্নিত করবে এসব আত্মত্যাগীকে?

সোমবার ভোরে চলে গেলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন কমিউনিস্ট নেতা জসিম উদ্দিন মন্ডল (৯৭)।

সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির এই উপদেষ্টার মৃত্যুতে সোমবার ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে। স্মৃতিচারণও করেছেন কেউ কেউ।

জসিম উদ্দিন মন্ডলের মৃত্যুতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মামুন তাঁর ফেসবুকে লিখেন-

কমরেড জসিমউদ্দিন মণ্ডলের বক্তৃতা আমি কোনোদিন শুনিনি। শুধু শুনেছি, তিনি ভালো বক্তৃতা করেন আর অসম্ভব নিষ্ঠাবান নেতা। আজীবন তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন আর তা-ই থেকে গেছেন। যখন আমরা একে একে বিএনপি, আওয়ামী লীগ হয়েছি; ডান কিংবা লিবারেল ডেমোক্রেট, তখনও জসিম মণ্ডল কমিউনিস্ট থেকে গেছেন। সঠিকতার নামে পার্টিও বদল করেননি। এটা ভালো না মন্দ, জানি না। শুধু জানি, বদলে যাওয়ার ভীষণ সময়েও এ লোকটি বদলাননি।

কালকে আমার জন্মদিনে যখন এত-এত শুভেচ্ছা পাচ্ছিলাম, মেসেঞ্জারে 'ধন্যবাদ' দিতে দিতে যখন বলা যায় ক্লান্ত; তখন ফেসবুকে বারবারই ঝিলিক দিয়ে উঠছিল প্রবীণ এ বিপ্লবীর মুখ। তিনি কী ফেসবুক ব্যবহার করতেন? গুগল? তবু ফেসবুক জুড়ে কাল ছিলেন তিনি। আবার মনে হয়েছে, আমার বন্ধুদের অনেকে এখনও বাম কিংবা আধাবাম অথবা এর প্রতি সহানুভূতিশীল। তাই হয়তো জসিম মণ্ডলের এত ছবি আর তার ওপর এত-এত পোস্ট।

এসব দেখতে দেখতে কাল বারবারই মনে হচ্ছিল, আগামী প্রজন্ম কীভাবে চিহ্নিত করবে এসব আত্মত্যাগীকে? পিজ্জা, বার্গার আর ফেসবুকময় এ জীবনটার ভিত্তি রচনা করে গেলেন যারা, তাদেরকে কী এরা বোকা ঠাওরাবে? জসিম মণ্ডল কিংবা এমনকি আমাদের যৌবনে কিছু অসামান্য লোকের যে কিছু নির্জলা কন্ট্রিবিউশন ছিল, সেগুলোর সামান্য স্বীকৃতিও কী মিলবে? নাকি সবাই শুধু টিস্যু পেপারে হাত মুছে ফেলার মতো করে বলবে, তার জীবনাবসানের ভেতর দিয়ে ঘটল একটি যুগের অবসান?

আপনার মন্তব্য

আলোচিত