০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ০১:০৯
জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা 'লোপাট' হয়ে গেছে। আমাদের অর্থমন্ত্রী যেসব ব্যাংকে তাদের লুটেরা গোষ্ঠিকে বসিয়েছিলেন তারা সবগুলো ব্যাংকেই সাধারণত সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার মতোই একেক স্ল্যাবে মেরেছে, কারন এই টাকা অর্থমন্ত্রীর ভাষায় কোনো টাকাই না।
প্রত্যেকবারই বোর্ডের চেয়ারম্যানদের উপর দায়ভার চাপিয়ে সরকার মুখ মুছে ফেলেছে। সেটা বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু কি জনতা ব্যাংকের প্রফেসর আবুল বারাকাতই হোন না কেন।
বিষয় হচ্ছে জনতা ব্যাংকের এই সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে তাদের কর্পোরেট শাখা থেকে। নিয়ম হচ্ছে শাখা ম্যানেজার সবকিছু চেক করে, সরেজমিনে তদন্তফদন্ত করে তারপর ঋণ প্রস্তাব বোর্ডের কাছে পাঠান, সারাদেশের এরকম অসংখ্য ঋণ প্রস্তাব তারপর বোর্ড অনুমোদন করে।
তাই শাখা ম্যানেজারের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া এই লুটপাট সম্ভব নয়। জনতা ব্যাংকের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা লুটের বেশিরভাগই লুট হয়েছে শাখা ম্যানেজার আবদুস সালাম আজাদের সময়।
এই লুটপাটের অন্যতম বড় স্তম্ভ এই শাখা ম্যানেজার।
তো, এই আবদুস সালাম আজাদ এখন কোথায়?
তিনি এখন জনতা ব্যাংকের এমডি হিসেবে প্রমোশন পেয়েছেন! ;)
তিনি কেন এই পদোন্নতির পুরস্কার পেয়েছেন, এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
এই হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর ব্যাংক ব্যবস্থাপনা। রাবিশ!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)
আরিফ জেবতিক: লেখক।
আপনার মন্তব্য