সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০২ জুন, ২০১৮ ১৭:২৭

কেউ যদি আমাকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়?

'কথিত বন্দুকযুদ্ধে' টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনা নতুন মোড় নেয় বৃহস্পতিবার। এদিন নিহত কাউন্সিলের স্ত্রী আয়েশা বেগমের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৪ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড হাজির করে আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ওই অডিও রেকর্ডে স্বামীর সাথে তাঁর ও তাঁর সন্তানদের শেষ কথোপকথন রেকর্ড রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকেন। বিনাবিচারে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি উঠে।

এনিয়ে সেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক এমদাদ রহমান ফেসবুকে লিখেন-

কাউন্সিলর একরামের সাথে তার স্ত্রী সন্তানদের শেষ কথোপকথন বেশিক্ষণ শোনার সাহস হয়নি! শরীরের সমস্ত লোম খাড়া হয়ে গেছে!! সত্যিই ভয় পেয়ে গেছি।

রাজনীতি করি, শত্রুর অভাব নেই।
ভাবছি এখন কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে আমাকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়? কি হবে?

মনে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র এমন সাহসী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আবারো বলছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন ঠিকই, কিন্তু নিরীহ-নিরপরাধ কাউকে হয়রানী কিংবা ফাঁসিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স কাউকে দেননাই।

সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৩ দিনে নিহত ১২২ জনের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক একজন, যিনি গত ২৬ মে রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে র‌্যাবের দাবি।

তবে আয়েশা বেগম তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত