নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:৫১

গানে গানে সঞ্জীব চৌধুরীর স্বপ্নের কথা শোনালেন শিল্পীরা

ঘুরে ঘুরে স্বপ্নের কথা বলতে চেয়েছিলেন শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী। বলতে চেয়েছিলেন চলমান অসঙ্গতির কথা। 'আর তখনই, তখনই আমার দিকে এগিয়ে আসলো উদ্ধত রাইফেল, উদ্ধত বেয়নেট, ওরা বলে, 'খামোশ'!''- গানে গানে এমনটিও জানিয়েছিলেন সঞ্জীব।

সঞ্জীব চৌধুরীর চলে যাওয়ার ১২তম বার্ষিকীতে তাঁর গাওয়া গান আর স্বপ্নের কথা শোনালেন সিলেটের একদল তরুণ শিল্পী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর সুরমা নদীর তীরের চাঁদনী ঘাট এলাকায় 'সঞ্জীবস্মরণ' নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে 'হৃদয়পুর' নামের তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম।

ইয়াসমিন ধর্ষিত হওয়া নিয়ে গান গেয়েছিলেন সঞ্জীব। সেই গান ফিরেছে লোকের মুখে মুখে। তবে ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। বরং বেড়ে গেছে আরও। সঞ্জীবস্মরণ অনুষ্ঠানের গানের ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসলো এই প্রসঙ্গও। পেঁয়াজের দাম, প্রবাসে নারী শ্রমিক নির্যাতন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যদের কাণ্ডকীর্তি- বাদ গেলো না এসব বিষয়ও।

গানে গানে নিজের সময়ের ধারাবর্ণনা করে গেছেন যে শিল্পী তার স্মরণানুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিকভাবেই আলোচিত হলো সমসাময়িক এই ইস্যুগুলো।

আর সঞ্জীবের গান তো চললোই। শিল্পীরা একক ও সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করলেন- 'আমি তোমাকেই বলে দেবো', 'এই নষ্ট শহরে', 'আগুনপাখি', 'হাতছানি দেয় বাংলাদেশ', 'আগুনের কথা বন্ধুকে বলি'সহ সঞ্জীবের জনপ্রিয়-অজনপ্রিয় গানগুলো।

নতুন আর পুরনো প্রজন্মের দর্শকদের সামনে সঞ্জীবের গান শোনান অরূপ বাউল, দেবজ্যোতি দেবু, সোনিয়া সুভদ্রাসহ হৃদয়পুরের শিল্পীরা।

পুরো আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন রাজীব রাসেল ও দেবপ্রিয়া পাল।

আয়োজকেরা জানান, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস-স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনে তার স্পষ্টবাদী কণ্ঠ প্রতিবাদের সুর তুলেছে। এই সময়ে সঞ্জীবের গান আর তার স্বপ্ন সাহস দেখাবে নতুন প্রজন্মকে- এই লক্ষ্য থেকেই সঞ্জীব স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত