শফিকুল ইসলাম, রাবি

২২ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৩৩

রাবিতে লিপু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ

‘নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নাকি কাফন-কফিনের ব্যবস্থা করবে’

‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নাকি কাফন-কফিনের ব্যবস্থা করবে। এখানে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলছে। লাশের লাইন লম্বা হচ্ছে। এখানে রক্ত ও ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।’

শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহীল বাকী এসব কথা বলেন।

বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, যদি এই ঘটনাগুলো এভাবে পর্যায়ক্রমে ঘটতেই থাকে তাহলে এখানে কেউ নিরাপদে থাকতে পারবে না। এখানে আর কতো হত্যা হবে? আমরা আর মতিহারের এ সবুজ চত্বরকে রক্তাক্ত দেখতে চাই না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থী নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন সচেষ্ট হয় তাহলে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের বের করতে পারবে। আমি এই বিভাগের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বিচার দেখতে চাই।’

এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে তারা একটি মৌন মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, রেজাউল করিম শামীম, জোবাইদা শিরীন জ্যোতি, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বিরা ইয়াসমিন, হুসাইন মিঠু, রাশেদ রিন্টু, রাইসা জান্নাত, দ্বিতীয় বর্ষের ইমরান খান নাহিদ প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহ জেলা সমিতি। মানববন্ধন শেষে তারা একটি মৌন মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন লিপুর চাচা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত