সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০১:১৩

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করলো সিকৃবি ছাত্রলীগ

কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবসের প্রথম প্রহরে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

৩ নভেম্বর রাত ১২টা ১মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচী পালন করেছে।

বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটিকে পরাজিত শক্তিরা তাদের কব্জায় নেয়ার জন্য ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ১৯৭৫ সালে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সপরিবারে ১৫ আগস্ট ভোরে। এর আড়াই মাস পর আজকের এই দিনে কারাগারে আটক রাখা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে কেন এবং কি কারণে হত্যা করা হয়েছিল, তার প্রকৃত ভাষ্য মেলে না। কিন্তু ধারণা প্রশ্নাতীত যে, দেশী-বিদেশী অশক্তিগুলো একত্রে কাজ করে তবেই নির্মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিবিপ্লবীরা অর্জিত রাষ্ট্রীয় মূলনীতি শুধু পরিবর্তনই নয়, দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করে।

আলোক প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ শামীম মোল্লা বলেন, “শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী কয়েকজনের সাজা হলেও বাকিরা পলাতক। এই হত্যাকারীরাই জেল হত্যায়ও জড়িত ছিল। জেল হত্যার নেপথ্যে সংঘটিত ষড়যন্ত্র উদঘাটন এখন জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কারা ষড়যন্ত্রকারী, কারা প্ররোচনাদানকারী সে সব তদন্ত জরুরী। যদি তাদের চিহ্নিত করা না যায়, তবে জাতিকে কলঙ্কের ভার আরও বহুকাল বয়ে যেতে হবে।”

এদিকে রাত বারটায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি হাতে সিকৃবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। মোমবাতি বেদিতে রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত