রাবি প্রতিনিধি

০৫ নভেম্বর, ২০১৬ ১৮:৪২

রাবি শিক্ষিকার আত্মহত্যা, সহকর্মী গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ‘আত্মহত্যা’য় প্ররোচনার মামলায় তার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে নগরীর গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক হলেন মো. আতিকুর রহমান রাজা একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে মো. আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আল আমীন জানান, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে আকতার জাহান জলির অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিলো। আকতার জাহানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। শনিবার বিকালে আকতার জাহানের আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় আতিকুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানকে (৪৫) মৃত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ৩০৩ নং কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শিক্ষকের ভাই মো কামরুল হাসান।

এদিন ওই কক্ষ থেকে আকতার জাহানের হাতে লেখা একটা সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেটাতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে আমি আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে যেনো তার বাবা কোনো ভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে সে যে কোনো সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে। আমার মৃতদেহ ঢাকায় না নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আকতার জাহানের একমাত্র সন্তান সোয়াদ ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে ওই শিক্ষকের। তার সাবেক স্বামী একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ। আকতার জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে একাই থাকতেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত