মারূফ অমিত

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০১:০৭

‘বাকীর ভয়ে’ বন্ধ এমসি কলেজ ক্যান্টিন, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সিলেট মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ক্যান্টিন। ক্যান্টিন না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ছাত্রনেতারা দীর্ঘদিন বাকী খেয়ে বিল পরিশোধ না করায় এক বছর আগেই ব্যবসা গুটিয়ে নেন ক্যান্টিনের আগের ইজারাদার। এরপর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ক্যান্টিনটি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে ক্যান্টিনের দরজা-জানালা। নেই বসার ব্যবস্থাও। কেবল দেয়ালটুকুই টিকে রয়েছে ক্যান্টিনের। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শীঘ্রই ক্যান্টিন সংস্কার করে আবার চালু করা হবে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, কলেজের একটি মাত্র কেন্টিন এখন জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত ভবন। দরজা জানালার অবস্থাও বেহাল। কেন্টিনের ভেতরের বাসার চেয়ার টেবিলগুলো ভাঙ্গা। বিদ্যুৎ সংযোগের  বোর্ডগুলোর অবস্থাও বেহাল। ক্যান্টিনের সামনে ফেলে রাখা গাছের পরিত্যক্ত ডালপালা।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ। ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় টিফিন পিরিয়ডে নাস্তা করার কোন সুযোগ নেই তাদের। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।

এমসি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ শিক্ষার্থী ইয়াকুব আলী সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কেন্টিন চালু ও সংস্কারের জন্য আমরা অধ্যক্ষ বরারব আবেদন করেছি। কলেজ হোস্টেল উদ্বোধনের দিন থিয়েটার মুরারী চাঁদের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষামন্ত্রী বরাবরও স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এত দিনেও তা সংস্কার করা হয় নি।

এ ব্যাপারে এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কলেজের ক্যান্টিন কেউ চালাতে চায় না। ছাত্র ছাত্রীদের অনেকে বাকী খেয়ে বকেয়া বিল পরিশোধ না করার আগে যিনি ক্যান্টিন চালাতেন তিনি এখন আর আসেন না।

সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা শীঘ্রই এটির দরজা জানালা ও আসন ব্যবস্থা ঠিক করব। এরপর এটি আবার চালু করা হবে।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত