সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০১৭ ১৮:২৩

রমেল চাকমা হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলার ন্যানারচর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও এইস এস সি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা ও এই বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সেনাসদস্যদের বিচার এবং পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জিলানী শুভ'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলভ চাকমা। তিনি বলেন, "সেনাবাহিনী কর্তৃক পার্বত্য অঞ্চলে নির্যাতন হত্যা, গুম, ধর্ষণ একদিনের না। সেনাবাহিনী কর্তৃক গুম, খুন, ধর্ষণের বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় আজ রমেল চাকমা খুন হলো।"

সমাবেশে ছাত্র জোটের নেতা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শ্যামল বর্মণ বলেন, "পার্বত্য চট্টগ্রাম যেহেতু বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন কোন এলাকা না এবং বাংলাদেশেও কোন সেনা শাসন চলছে না, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে কেন সেনাবাহিনী, কেন সেনা শাসন?" অবিলম্বে তিনি পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জিলানী শুভ বলেন, "রমেল চাকমা হত্যায় জড়িত সেনাবাহিনীর মেজর তানভির ও অন্যান্য জড়িত সদস্যদেরকে অবিলম্বে চাকুরীচ্যুত করে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে হবে।"

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল ন্যানাচার উপজেলার সামনে থেকে সেনাবাহিনীর নান্যারচর জোনের মেজর তানভির এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য তাকে আটক করে টেনে-হিঁচড়ে জোনে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর দিনভর তার উপর অমানুষিকভাবে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। দিনভর এই অমানুষিক নির্যাতনের ফলে রমেল চাকমা গুরুতর অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে সেনা সদস্যরা সন্ধ্যায় তাকে থানায় হস্তান্তরের চেষ্টা করে। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর সেনারা তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সেখানে ভর্তি না করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেয়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে গত ১৯ এপ্রিল রমেল চাকমা মারা যান।

রমেল চাকমার মৃতদেহ পরিবারকে দিয়ে পুনরায় পরিবার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গত ২০ এপ্রিল সেনাবাহিনী লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত