নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মার্চ, ২০১৮ ১৮:৫৬

শোকে মুহ্যমান রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা

চুড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাস করলেই ইটার্নি চিকিৎসক। পরীক্ষা শেষে ছুটিতে নিজ দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। তারা ১৩ জন। সকলেই নেপালি। সকলেই পড়েন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সোমবার নেপালে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো তার যাত্রী এরা সবাই। এদের মধ্যে দু'জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকী ১১ জনই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভিনদেশি এই সহপাঠিদের এমন মৃত্যুতে শোকাহত রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শোকে স্তব্দ শিক্ষকরাও।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং আজকের সব ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবেদ হোসেন জানান, ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী দুর্ঘটনাকবলিত বিমানে ছিলেন। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। যদিও প্রাথমিক খবরে তাদের ১১জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আমরা নেপালি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে তাদের অ্যাম্বাসির সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে অন্তত ১১জন নিহত এবং ২ জন জীবিত আছেন বলে আশঙ্কা করছি।

সোমবার দুপুরে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পতিত হয় বাংলাদেশি বেসরকারি বিমান কোম্পানী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারক্রাফট। সাথে সাথে আগুন লেগে যায় বিমানটিতে।

বিমানটির ৬৭ জন যাত্রী ও ৪জন ক্রুয়ের মধ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশি, ৩৩জন নেপালী, একজন চীনা ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক ছিলেন। ওই বিমানে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১১ ছাত্রী ও ২ ছাত্র ছিলেন।

এ বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ জন। বিমানের পাইলটসহ ৪জন ক্রুয়ের সবাই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এই বিমানে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছুটি কাটাতে নিজ দেশে যাচ্ছিলেন রাগীর রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের নেপালি ১৩ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- ১৯তম ব্যাচের সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত