শাহআলম সজীব

১৮ মে, ২০২০ ০০:১৮

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ!

১৭ মে, ১৯৮১; আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফেরেন। ওই দিন সারাদেশ থেকে আসা লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা তখন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, স্বামী ও দুই সন্তানসহ তখনকার পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ফলে তারা প্রাণে বেঁচে যান। বিদেশে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।

কেমন ছিলো সেই সময়টা? কেমন ছিল রাজপথের রাজনীতি?

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশের রাজনীতি এতটা সহজ ছিল না। খুনি জিয়া মোশতাক চক্র হত্যার রাজনীতিতে মত্ত ছিল। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা আর্মি অফিসারদের হত্যা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা ছিল রাষ্ট্রীয় মদতে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন রোধে সেদিন 'শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি' গঠিত হয়েছিল ! ছিল 'পথে পথে পাথর ছড়ানো'! সামরিকজান্তার নানান প্রতিবন্ধকতা।

১৯৮১ সালের ৫ মে বিশ্বখ্যাত নিউজউইক পত্রিকা শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে ছেপেছিল, 'জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যাচ্ছেন'!

১৯৮১ সাল ১৭ই মে রবিবার; বাংলাদেশের পরিত্রাণকর্তা হয়ে তিনি ফিরে এসেছিলেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। বাবা মা, পরিবার পরিজন হারানো শোকসাগর বয়ে বেড়ানো শেখ হাসিনার আগমনে প্রকৃতিও লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো কেঁদেছিল অঝরে।

দু'বাহু ঊর্ধ্বে তুলে সেদিন বাংলার কোটি কোটি মানুষ শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছিলেন। সেদিন থেকে 'গণমানুষের ঠিকানা; জননেত্রী শেখ হাসিনা'।

শেখ হাসিনা সেদিন দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করার সক্ষমতা অর্জন করার বাংলাদেশ। মহাকাশে নিজেদের স্যাটেলাইট পাঠানোর বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ!

শাহআলম সজীব: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা; সদস্য, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত