মিহিরকান্তি চৌধুরী

১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:০১

স্মরণ: মহানায়িকা কবরী

শোক সংবাদ হল, রূপালি জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা বেগম কবরী কোভিড- ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গত পরশু দিন। কোভিড- ১৯ ভাইরাসে কত আপনজন, প্রিয়জন, প্রিয় তারকা যে চলে গিয়েছেন তার শেষ নেই। পরশু পর্যন্ত তিনি ছিলেন সর্বশেষ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

মিনা পাল থেকে কবরী, কবরী সারোয়ার হয়ে শেষ পর্যন্ত সারাহ বেগম কবরী- কর্মের এক দীর্ঘযাত্রা গণিতনির্ভর বয়স দিয়ে বিবেচনাযোগ্য নয়।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তার বাইরে নিজ নিজ জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত শোকাহত হয়েছেন। সজল, নির্জল উভয়ভাবে সকলেই বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং নিজের প্রতিই এক বিশেষ ধরনের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরাও কবরীকে নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পেরেছিলেন। এ ছিল অসাধারণ এক ভাবনা। ততটা বাংলাদেশের ছায়াছবির জগতে অন্য কোনও অভিনেত্রী অর্জন করতে পারেননি। এক পর্যায়ে তার নাম পড়ে যায় 'মিষ্টি মেয়ে'। 'মিষ্টি মেয়ে' নামে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।

তখনকার দর্শকরা খল ছিল না, অশ্লীল ছিল না তাদের মনোজগত। রূপালি জগতের নায়িকাদের তারা স্বপ্নের রানী মনে করত, বেডরুমের রানী মনে করত না। এ কারণেই কবরী বা তার সমসাময়িক নায়িকারা সেটা ঢালিউড, টালিউড বা বলিউড যেখানেরই হোন না কেন চিত্রজগতে টেস্ট ক্রিকেটারদের মতো দীর্ঘস্থায়ী, স্থিতিশীল আসন লাভ করেছিলেন।

একবার ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার প্রিয় নায়িকা অপর্ণা সেন যিনি তখন ‘সানন্দা’ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তিনি কখনও তার প্রিয় নায়িকার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান না, ভয় থাকে যদি বা অনুরাগ কমে যায়। একদিন টেলিফোনে শুধু কথা হয়েছিল। এতেই তিনি নাকি বিব্রত। তার স্বাপ্নিক বোধকে তিনি টানাপোড়েনের মধ্যে ফেলতে চান না। এই ছিল দুই তিন দশকেরও আগের কথা। মডেল সেই রকমই হতেন, হন। বর্তমানে কোনও কোনও ভক্তের ট্যুর ম্যাপ ভিন্ন মাত্রার।

আর আজকাল নায়িকাদের বেশিরভাগই অ্যানাটমির ছাত্র। তবে ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। আগের আমলের দর্শকদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আবেগকে উপভোগ করতেন। কিছুটা নিজের জীবনেও মিশিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করতেন। এখন আবেগের জায়গা অনেক ক্ষেত্রেই দখল করেছে সুড়সুড়ি। চাহিদা যোগানের সৃষ্টি করে। তাই পরিচালকরা দর্শক মনের সুরতহাল রিপোর্ট পেয়ে সেই মতোই ছবি তৈরি করেন।

আবদুল জব্বার খান, জহির রায়হান, মুস্তাফিজ আহমেদ, খান আতাউর রহমান, এহতেশাম, সুভাষ দত্তসহ আরও অনেক সৃষ্টিশীল পরিচালক-নির্দেশক এখন নেই। তাদের ছবি এখন চলত কি না সন্দেহ আছে। যারা দেখত তাদের একটা অংশ ভালো বলত, প্রশংসা করত কিন্তু ব্যবসা হত না। আমাদের দেশে হাতেগোনা পরিচালক-নির্দেশক রয়েছেন বা ছিলেন যারা সৃজনশীল ব্যবসাসফল ছবি বানিয়েছেন বা বানাতে পারেন, এমনকি অ্যাকশনধর্মী ছবিও। এখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ছিল বরাবরই। তাছাড়া কারিগরী দিক ছিল বরাবরই দূর্বল। বাবুর্চির হাতের বাহাদুরিতে সাধারণ উপকরণ দিয়েও অসাধারণ খাবার তৈরি হয়। একইভাবে দক্ষ, প্রতিভাবান পরিচালক-নির্দেশক একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে পারেন যেমনটি ববিতার কাছ থেকে আদায় করেছিলেন সত্যজিত রায় ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে।

এদেশের পরিচালক-নির্দেশকরা ববিতার কাছ থেকে মহাকিছু বের করতে পারেননি। কবরী ভালো পরিচালক-নির্দেশক যাদের পেয়েছিলেন তারা ছিলেন ষাটের দশকে ক্রিয়াশীল। সত্তরের দশকের সকল পরিচালক-নির্দেশকদের মান কবরী বা রাজ্জাকের সাথে যায় না। কবরী বা রাজ্জাকের মতো শিল্পী নিয়ে সত্যজিত রায়, তপন সিংহ, শ্যাম বেনেগাল কাজ করলে সোনা ফলত। এরা যাননি, উনারাও ডাকেননি, সোনার কারবারও হয়নি। চরিত্রশিল্পী হিসেবে পরবর্তীকালে রাজ্জাক সাহেব কলকাতার অনেক ছবিতে অভিনয় করলেও নায়ক যুগে যাননি। কারণ তখন ওখানে আরেক বাঘ, আরেক রাজা, আরেক নায়করাজ রাজত্ব করছেন, তিনি উত্তমকুমার। সেকেন্ড বয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তার পরে দিলীপ মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকসহ আরও অনেকে। ওখানে গেলে রাজ্জাক সাহেব সেকেন্ড লিড রোলের চেয়ে বেশি পেতেন না, দিত না আর কি। সেখানের রসায়ন, এখানের রসায়ন সবই আমাদের জানা। সেজন্যই যাননি বা যাওয়ার চেষ্টাও করেননি যেমনভাবে ১৯৬২ সালে ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ শীর্ষক হলিউড ছবির সেকেন্ড লিড রোলে যাননি বলিউড অভিনেতা দিলীপকুমার। ছবিটি অনেকগুলো অস্কার পুরস্কার পেয়েছিল। ওই সেকেন্ড লিড রোলে অভিনয় করেছিলেন খ্যাতনামা মিশরীয় অভিনেতা ওমর শরীফ। উপমহাদেশের চামড়া একটু বেশিই পাতলা। একই কারণে কবরী ওই পথে হাটেননি। সুচিত্রা সেন তখনও অভিনয়ে আছেন। তাছাড়া, সুপ্রিয়া দেবী, সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেনের সাথে সেকেন্ড লিড রোলে যাওয়ার মানে নেই।

মিল্টনের কথায়, ‘বেটার টু রুল ইন হেল দ্যান সার্ভ ইন হ্যাভেন’। তাছাড়া তারা ঢাকায় যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলেন।
কবরী ১৯৭০ এর দশকে অভিনেতা ফারুকের সাথে বেশ কয়েকটি ছবিতে (যেমন ‘সুজন সখী’ এবং ‘সারেং বৌ’) অভিনয় করেছিলেন। তিনি ‘দেবদাস’ ছবিতে বুলবুল আহমেদের সাথেও অভিনয় করেছিলেন। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাশ একটা নদীর নাম’ ছবিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সহ-অভিনেতা রহমানের সাথে জহির রায়হানের ‘বাহানা’ নামে একটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। কবরী রাজ্জাক, আলমগীর, সোহেল রানা, উজ্জল, ওয়াসিম, খান আতাউর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, শওকত আকবর এবং এটিএম শামসুজ্জামান সহ একাধিক অভিনেতার সাথেও কাজ করেছেন। সবকিছুর পর কবরী-রাজ্জাক জুটি ছিল সেরা, ব্যবসার দিক থেকেই হোক, রসায়নের দিক থেকেই হোক আর সেটিং ম্যাচিং ইত্যাদির দিক থেকেই হোক।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে বা যুদ্ধ পরবর্তী উত্তাল সময়গুলোতে রাজ্জাক-কবরী জুটি তৎকালীন প্রেক্ষাপটে সমাজের সাধারণ মানুষের চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করত এবং মানুষকে মানসিকভাবে স্বস্তি দিয়েছিল বলে এই জুটি মানুষের মধ্যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে- এমন মত পাওয়া যায় বোদ্ধাদের কাছ থেকে। সেসময়কার সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে, ষাটের দশকের গুমোট পরিস্থিতিতে বিনোদনের মধ্যে দিয়ে একরকম স্বস্তি পেতে চাইত মানুষ, এই রাজ্জাক-কবরী জুটি সেই স্বস্তিটা দিতে পেরেছিল।

ষাটের দশকের গুমোট পরিস্থিতিতে কীভাবে মানুষ রাজ্জাক-কবরী জুটি বা অন্য তারকাসমৃদ্ধ ছবি থেকে বিনোদনের মধ্যে দিয়ে একরকম স্বস্তি পেতে চাইত মানুষ, এ সম্বন্ধে একটি বিষয়ের রেফারেন্স দেওয়া যেতে পারে। অমিতাভ বচ্চনের ‘ডন’ ছবির বিখ্যাত গান ‘খাইকে পান বানারসওয়ালা’ মূলত এই ছবির জন্য নির্মিত হয়নি, রচিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দেব আনন্দের ‘বানারশি বাবু’ ছবির জন্য। দুটি ছবিতেই সংগীত পরিচালক ছিলেন কল্যাণজি আনন্দজি। এই গানটি যখন দেব আনন্দের সাথে আলোচিত হয়েছিল, তখন তিনি এটিকে অপছন্দ করে বলেছিলেন যে এটি তার ইমেজের সাথে যায় না, তাই গানটি সেই ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গানটি কল্যাণজি-আনন্দজির সংগ্রহে থেকে যায়। ‘ডন’ ছবির পরিচালক চন্দ্র বারোট মনোজ কুমারকে ছবিটি দেখিয়েছিলেন। মনোজ কুমার তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ছবিটি খুব দ্রুত চলছে, এটিতে শ্বাস নিতে কিছুটা জায়গা দরকার, বিরতি পরে একটি গান রাখা উচিত। তখন ‘বানারশি বাবু’ ছবিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া গানটি ছবির দর্শকদের সিরিয়াস ভাব দূর করে মেজাজ হালকা করেছিল, দিয়েছিল স্বস্তি। এক নাগাড়ে তিন ঘন্টার অ্যাকশন দর্শক মনে নেতিবাচক প্রভাব যে পড়তে পারে তা মনোজ কুমার বুঝতে পেরেছিলেন। ষাটের দশকের উত্তেজনাকর দিনগুলোতে এবং নব্য স্বাধীন দেশের উচ্ছ্বাসের দিনগুলোতে মানসিক চাপ কমাতে বাংলা ছায়াছবির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ তারকার ছবির আলাদা একটা মাত্রা ছিল যার মধ্যে কবরীর ছবি, কবরী-রাজ্জাক জুটির ছবি তো ছিল সেই।

ষাট ও সত্তরের দশকে নায়ক নায়িকার বয়সের পার্থক্য থাকত দশ বারো বছর, বলিউড, কলকাতা, ঢাকা যেখানেই হোক। সমাজেরই প্রতিফলন সেটা। ব্যতিক্রম ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর বয়সের দশ বারো বছর ব্যবধান নিত্য বিষয় ছিল। মানুষ নায়ক-নায়িকার মধ্যে নিজের প্রতিফলন দেখতে চাইত, নিজেকে খুঁজত। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান অনেক ক্ষেত্রেই কম, সমবয়সী, সহপাঠীও আছেন। বর্তমান নায়ক-নায়িকার বয়সও সেই অনুপাতের। আগে, সমাজের বরের বয়সেই ছবির বর বিয়ে করত। এখন কম বয়সে বিয়ে হয় সমাজে, ছবিতে। রাজ্জাক সাহেবের সাথে কবরীর জুটি সফল হওয়ার পেছনে ওই আমলের বয়সের অনুপাতও কাজ করেছে।

সত্তরের দশকে রাজ্জাক ও বুলবুল আহমেদ ছাড়া বেশির ভাগ নায়ক কবরীর (১৯৫০) জন্য ঠাকুরপো ক্যাটাগরির অভিনেতা ছিলেন, নায়ক ক্যাটাগরির ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সম্মান রেখে বলছি তারা কবরীর সমবয়সী বা প্রায় সমবয়সী ছিলেন, হোন তিনি আলমগীর (১৯৫০), ওয়াসিম (১৯৫১), উজ্জ্বল (১৯৪৬), ফারুক (১৯৪৮), সোহেল রানা (১৯৪৭) বা অন্য কেউ। দর্শকের মানসিক সফটওয়ার এখন যা গ্রহণ করে তখন তা গ্রহণ করতে একটু ইতস্তত করত তবে ঠাকুরপোদের অভিনয় গুণ অনেক কিছু পুষিয়ে দিয়েছে। ছবিতে অভিনয় করার সময় সাইকোলজিক্যাল রেগুলেটর দিয়ে বয়স পাঁচ, সাত, দশ বছর বাড়িয়ে দিতেন তারা। এখন তো কম বয়সী ছেলেদের সাথে বেশি বয়সী মেয়েদের প্রেমও হয়, বিয়েও হয় সমাজে, ছবিতে সর্বত্র। ১৯৮৫ সালে ‘পরমা’ ছবিতে নির্মাতা অপর্ণা সেন মাইনাস তাপমাত্রা দেখিয়েছিলেন।

’সারেং বৌ’ (১৯৭৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। অভিনয় ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন।

২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

কবরীর প্রায় সব ছবিই আমার দেখা। বাদ যাওয়ার কথা নয়। পর্দার বাইরে তিনি ছিলেন কবরী আপা। পরশু তার মৃত্যু সংবাদ শুনে যারপর নাই শোকাহত হলাম। আমার ছোটো প্রোফাইলের জীবনে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ছবি বিশেষ করে হিন্দি ছবি এবং ক্রিকেট অনেক প্রভাব ফেলেছে। বাংলা ছবি তুলনামূলক কম দেখা হলেও কবরী, ববিতা, রাজ্জাক ও বুলবুল আহমেদের ছবি বেশির ভাগই দেখা। ছবি, ক্রিকেট ও পাঠাগার আমার জীবনে পাওয়া তিন গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণিকক্ষ।
 
কবরী আপা সম্বন্ধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপক লেখাটি লিখতে উদ্যোগ নিয়েছি পরশু রাতেই। উৎসাহ পেলাম আমাদের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির মেধাবী ও সংস্কৃতিমনা ছাত্রী এবং রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতিতে অ্যাকাডেমিক ভিত্তিসমৃদ্ধ উদীয়মান শিল্পী মাশিয়াত তাহসীনের কাছ থেকে। মাশিয়াতকে ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশে অনেক কিছুর সাথে ‘মহা’ উপসর্গটি যুৎসইভাবে কাজে লাগে না। নায়িকা কবরীর সাথে ‘মহা’ যৌক্তিকভাবেই লাগতে পারে। শোকের মধ্যেও সান্তনা হলো, দীর্ঘ না হলেও মহানায়িকা কবরী একটি অর্থবহ জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।

মিহিরকান্তি চৌধুরী: লেখক ও অনুবাদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত