মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা

১৫ জুন, ২০২৩ ২১:৩১

কামরানের প্রতিচ্ছায়া যেন আনোয়ারের মাঝে

সিলেটের সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের আজ ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। ভোটের মানুষ কামরানের চির প্রস্থানে সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা এখনো তীব্রভাবে অনুভব করছে সিলেটের মানুষ। কামরানের শহরে আবার ভোট এসেছে। কিন্তু ভোটের মাঠে নেই সিলেটবাসীর প্রিয় নাম  বদর উদ্দিন কামরান। প্রিয় কামরান ভাইয়ের স্থলে এবার ভোট যুদ্ধে নেমেছেন তাঁরই স্নেহধন্য,রাজনৈতিক উত্তরসূরি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সিলেটের মানুষের অনুভূতির সঙ্গে মিশে থাকা নাম কামরানের প্রতিচ্ছবি যেন ভাসছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মাঝে। একজন কামরান ভাইয়ের সহজিয়া আচরণ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মধ্যে পেয়ে কর্মীরা যেন খুঁজে নিচ্ছে তাদের প্রিয় কামরান ভাইকে। কামরান ভাইয়ের  চলে যাওয়ায় সিলেটের জনমানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবনায় যেমন ছন্দপতন ঘটেছিল তেমনি জনআকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছিল। কামরান বিহীন সিলেটে এবারের ভোট যেন এসেছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ বদর উদ্দিন কামরান ভাইয়ের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে।

বদর উদ্দিন কামরান ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন আপাদমস্তক জননেতা। নিজের একাগ্রতা, মধুর ব্যবহার ও স্বভাবসুলভ সহৃদয়তা দিয়ে তিনি জয় করেছিলেন তার চারপাশকে। প্রান্ত থেকে কেন্দ্রে পৌঁছাতে কামরানকে অনেক ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে। বার বার জীবনের ওপর আঘাত এসেছে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় মৃত্যুঞ্জয়ী কামরান সময়ের সাহসী সন্তান হিসেবে পরিণত হয়েছিলেন জনতার কামরানে।

সিলেটের আওয়ামী লীগের রাজনীতির অপরিহার্য মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার  করতে হয়েছে কামরানকে। কালের পরিক্রমায় বদর উদ্দিন কামরান নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। ছাত্র জীবন থেকেই তাঁর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা। শিল্প, সংস্কৃতি,ক্রীড়া, সমাজসেবা সকল জায়গায়ই রেখেছেন যোগ্যতার স্বাক্ষর। আলো ছড়িয়েছেন সর্বত্র। তৈরী করেছেন আপন ভুবন।

১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন বদর উদ্দিন কামরান। শিক্ষাজীবনের শুরু হয় শহরের বন্দর বাজারের দুর্গাকুমার পাঠশালায়। এরপর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। স্কুলে থাকা অবস্থায়ই ১৯৬৮ সালে তিনি ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ  লাভ করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে তৎকালীন এম সি কলেজ বর্তমান সিলেট সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেন। এসময় ছাত্রলীগ দুইভাগে বিভক্ত হলে তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক অংশে যোগ দেন। এসময় মুজিববাদী ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে অংশ নেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। জিএস পদে আক্তার আহমদ। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে ইমরান আহমদ চৌধুরী ও জিএস পদে বদর উদ্দিন কামরান। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভিপি পদে শাহাব উদ্দিন ও জিএস পদে মুর্শেদ আহমদ অংশ নেন। এসময় মুজিববাদী ছাত্রলীগ ভিপি জিএসসহ সিংহভাগ পদে নির্বাচিত হয়।

বদর উদ্দিন কামরান জি এস পদে পরাজিত হওয়ার পর ১৯৭৩ সালেই তৎকালীন ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের হস্তক্ষেপে মুজিববাদী ছাত্রলীগে যোগ দেন। এবছরই তিনি সিলেট পৌরসভা নির্বাচনে তোপখানা ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। এসময় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাবরুল হোসেন বাবুল। বদর উদ্দিন কামরানের জয়যাত্রা সে সময় থেকেই শুরু। সে সময় তিনি ছিলেন পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি। পরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে, সেবারও কমিশনার নির্বাচিত হন তিনি। তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আ ফ ম কামাল এডভোকেট। মধ্যখানে কিছুদিন বিদেশে চলে যাওয়ায় নির্বাচনী লড়াই থেকে দূরে ছিলেন তিনি।  দেশে ফিরে ১৯৮৯ সালে আবার সিলেট পৌরসভা নির্বাচনে কমিশনার পদে অংশ নিয়ে তৃতীয়বারের মত কমিশনার নির্বাচিত হন। এর আগেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। দেওয়ান ফরিদ গাজীর সান্নিধ্যে থেকে গণসংগঠনে কাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে  আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলে তিনি আওয়ামী লীগ (মিজান) অংশে যোগ দেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরলে দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে  তিনিও আওয়ামী লীগের মূলধারায় ফিরে আসেন।

১৯৮১ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইর্শ্বাদ আলী সভাপতি ও মাহমুদ হোসেন মঞ্জু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তারপর থেকে কামরান শহর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় তৎপরতা শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে বদর উদ্দিন কামরানকে সিলেট শহর  আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য পদে কোঅপ্ট করা হয়। এরপর থেকে  তিনি  আব্দুস সামাদ আজাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। ১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে তিনি শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন সভাপতি ছিলেন মাহমুদ হোসেন মঞ্জু। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন হলে সিরাজ বক্স সভাপতি ও বদর উদ্দিন কামরান পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাঁকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। একজন ব্যক্তি কামরান হয়ে উঠেন জনতার কামরান হিসেবে। সিলেটে দলমত নির্বিশেষে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয়। সিলেট শহরের বিভিন্ন সামাজিক ও  পারিবারিক বলয়কে অতিক্রম করে কামরানকে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে অনেক ধৈর্য্য ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। এসময়ই মূলত তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষনে সমর্থ হন। ২০০২ সালে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। ২০০৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এসময় তাঁর ঘনিষ্ঠজন আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম নিহত হন। অনেক নেতাকর্মী আহত হন। তখনকার আন্দোলন সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৫ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি আবার সভাপতি নির্বাচিত হন। তখনও সাধারণ সম্পাদক হন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। ২০০৮ সালে কারাগারে থেকে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন।এরপর থেকে জাতীয় পর্যায়ে তাঁর পরিচিতি ব্যাপক বৃদ্ধি  পায়। একজন আঞ্চলিক নেতা হয়েও তিনি কেন্দ্রের কাছে বিশেষ সমাদৃত হন। ২০১১ সালে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এসময় সাধারণ সম্পাদক হন আসাদ উদ্দিন আহমদ । ২০১৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের বিশতম  জাতীয় কাউন্সিলে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৮ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তাঁকে পরাজিত হতে হয় নানামুখী ষড়যন্ত্রের কাছে । নিজের দল ক্ষমতায় থাকার সময় জনপ্রিয় এই ব্যক্তির পরাজয় নিয়ে দলের ভেতরে,বাইরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।

এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কামরান ভাইয়ের পরাজয়ের প্রতিশোধ হবে তাঁর প্রিয় প্রতীক নৌকার বিজয় সুনিশ্চিতের মাধ্যমে। এই হোক প্রতিটি নেতাকর্মীর অঙ্গিকার। বদর উদ্দিন কামরান ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে দলের একুশতম জাতীয় সম্মেলনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী  কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আমৃত্য সিলেটের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিবেদিত ছিলেন। তিনি চাঁদের হাট,ফাল্গুনী সিলেট, রেডক্রস সোসাইটি, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা ইত্যাদি নানা সংগঠনের ছিলেন গুরুদায়িত্বে। একাধারে রাজনীতি, ক্রীড়া, সংস্কৃতি প্রেমী ও সাহিত্য অনুরাগী হলেও সমাজে তাঁর মূল পরিচয় ছিল জনপ্রতিনিধি হিসেবে। তাঁর বৈচিত্রময় জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। ছাত্রনেতা থেকে জননেতা, পৌরকমিশনার থেকে সিটি মেয়র। প্রান্ত থেকে কেন্দ্র এভাবে কামরান হয়ে উঠেন সিলেটের রাজনীতির সবচেয়ে পরিচিত মুখ। সর্বজনের মুখপাত্র। সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অনেকাংশে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মাধ্যমে পূরণের স্বপ্ন দেখছে সিলেটবাসী।

২০২০ সালের ১৫ জুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ৬৯ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় সিলেটের সমকালীন রাজনীতির এই কিংবদন্তি পুরুষের। সমাপ্তি হয় এক সফল  রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির বর্ণাঢ্য জীবনের। এখন নতুন করে তৈরি করতে সিলেটের মানুষের জন্য নতুন মুখপাত্র। যিনি কামরানের মতো সারাদেশে প্রভাবক নেতৃত্ব হিসেবে সিলেটবাসীকে নিয়ে যেতে পারেন গৌরবের অংশীদারে।
 
সিলেটবাসীর প্রিয় নাম বদর উদ্দিন কামরান এটি একটি চিরন্তন শ্লোগানে পরিণত হয়েছিল। তিনি সিলেট নগরের প্রতিনিধি হলেও জয় করেছিলেন ছিলেন সিলেট বিভাগের কোটি মানুষের হৃদয়। বিনয়ী কামরান ছিলেন একজন সুবক্তাও। সহজেই আপন করে নিতেন যে কাউকে। রাজনীতির মানুষ হলেও রাজনীতির বাইরের মানুষের প্রতিও গভীর মমত্ববোধ ছিল তাঁর। বদর উদ্দিন কামরানের মৃত্যুতে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা এই ক বছরে আরো গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে তাঁর ছিল প্রশ্নাতীত  গ্রহণযোগ্যতা । সিলেটবাসীর আবেগ- অনুভূতি তিনি ধারণ করতেন, লালন করতেন। ছিলেন একজন সর্বজনীন গণমানুষের নেতা। ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে ধর্ণাঢ্য শিল্পপতি সকলকে তিনি আপন যোগ্যতায় কাছে টেনে নিতেন। রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তা সবার সঙ্গে ছিল সদ্ভাব।সহজেই মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো। ব্যক্ত করতে পারতো মনের আকুতি। সমালোচনা সহ্য করার অসাধারণ গুণ ছিল এই সহজিয়া মানুষটির। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে দাঁড়াতেন নীরবে। সংকটকালে বাড়িয়ে দিতেন সাহায্যের হাত। বদর উদ্দিন কামরান চলে গেছেন। সবাইকেই একদিন চলে যেতে হয়। কাউকে না কাউকে দিয়ে সেই শূন্য স্থান পূরণ করতে হয়। কিন্তু তিনি সিলেটের জনমানসে যে প্রভাব রেখে গেছেন তা সত্যিই অপূরনীয় ।

কামরান ভাই ছাড়া সিলেটে আওয়ামী লীগের ভোটের রাজনীতি ছিল কল্পনার বাইরে। তাঁর বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজতে দলীয় হাইকমান্ডকে করতে হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে গণমানুষের ভাষা বুঝেন, সিলেটের মানুষের অনুভূতি ধারণ করেন, তা বুঝা গেলো এবার কামরান বিহীন দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে। বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মতো একজন ধৈর্য্যশীল, বিচক্ষণ ও কর্মীবান্ধব নেতাকে বেছে নিয়ে একজন নতুন কামরান তৈরির পথ প্রশস্ত করেছেন। সিলেটবাসী এখন একজন আনোয়ারুজ্জামানের মাঝে খুঁজছে তাদের হারানো কামরানের প্রতিচ্ছায়া। প্রিয় কামরান ভাইয়ের স্মৃতিতে এবার উৎসর্গীত হোক সিলেট সিটিতে নৌকায় ভোট। এভাবেই প্রিয় কামরান ভাই চিরকাল বেঁচে থাকবেন সিলেটবাসীর হৃদয়ে। চির প্রশান্তিতে থাকুন গরীববান্ধব জননেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বিনম্র শ্রদ্ধা।

মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা: সাংবাদিক, রাজনীতিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত