ফারুক আহমেদ

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:২১

নজরুলের পাশে তৃণমূলের সাবেক সাংসদের ছবি: প্রতিবাদে খোলা চিঠি

হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কোয়ারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল। এই ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দেখলাম বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর পাশে প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের ছবি। এক ঝলকেই মনে হল, কাজটি বড়ই অবিবেচনা প্রসূত। কাজী নজরুলের ছবির পাশে সুলতান আহমেদের ছবি কোনও বিচারেই ঠাঁই পাওয়ার কথা নয়। এতে কবির অসম্মানই হয়।

বাঙালি সমাজকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে সাহস যুগিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। আর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষকে দীক্ষিত করেছিলেন মনুষ্যত্বের সাধনায়। তাই কাজী নজরুলের পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি থাকলেই তা মানানসই হয়। আপামর বাঙালি বিশ্বকবি ও বিদ্রোহী কবির ছবি পাশাপাশি দেখতেই অভ্যস্ত। ওই দুই মনীষীর জন্য আমরা যারপরনাই গর্বিত।

মুসলিম ইনস্টিটিউটের উন্নতি সাধনে সুলতান আহমেদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সে কারণে যদি তাকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে তার ছবি বাঁধিয়ে বা মূর্তি তৈরি করে ওই হলের অন্য কোনও জায়গায় রাখা হলে আপত্তি নেই।

আমাদের আবেদন, বাঙালির আবেগ কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই আবেগ যেন কোনওভাবেই আহত না হয়।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সবার প্রিয় দিদির কাছে আবেদন, মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ছবির পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ছবি রাখার দ্রুত ব্যবস্থা করুন। তাতে আমরা গর্বিত হব।

পশ্চিমবঙ্গ নজরুল আকাদেমির সভাপতি কবি জয় গোস্বামীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মুসলিম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের এই অবিবেচনা প্রসূত কাজের বিরুদ্ধে আমাদের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ জানিয়ে এই পত্রের অবতারণা। আশা রাখি এর বিহিত হবে।

সঠিক পদক্ষেপ নেবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।

ইতি
ফারুক আহমেদ
সম্পাদক, উদার আকাশ
ঘটকপুকুর, ভাঙড়
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা-৭৪৩৫০২

আপনার মন্তব্য

আলোচিত