০৪ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৪৭
অন্য অনেকের মতন আমি কারো মাধ্যমে বা কারো দেখাদেখি ছাত্রলীগে আসিনি। পারিবারিকভাবেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আমার পদার্পণ।
আমার আব্বা রাজনীতি করতেন। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বাড়িতে মানুষের আনাগোনা, মিটিং, চায়ের আড্ডা, বৈঠক। শেখ সাব, আওয়ামী লীগ, যুদ্ধের নির্মমতা, পাকিস্তানিদের বর্বরতা, শেখের বেটি ইত্যাদি সব কথাবার্তা আর আলোচনা।
খুব ছোটবেলা থেকেই নিজ পরিবারেই আমরা ভাইবোন সবাই জয়বাংলা স্লোগানের সাথে বেড়ে ওঠেছি, বড় হয়েছি।
প্রাইমারি স্কুলে পড়ি কিন্তু কিছুই বুঝিনা। তারপরেও মিছিলে ছুটে গিয়েছি। অন্যদের সাথে স্লোগানে গলা মিলিয়েছি।
হাইস্কুলের পথচলাতেই নেতৃত্বে এসেছি। তারপর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, কলেজ ছাত্রলীগের পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগ।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সময়ে সময়ে সম্মেলন না হওয়ায় অন্য হাজারও ছাত্রলীগারদের মত উপযুক্ত পরিচয় থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি থাকাবস্থায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে মাত্র ৩ ভোটে হেরে গিয়েছি।
৪ বছর আগেই আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েছি তবুও আমার আত্মপরিচয়ের গর্বিত জায়গা ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন ছাত্রলীগের গর্বিত একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আত্মপরিচয়ের এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং বড় পদবি।
আমার শৈশব আর কৈশোরের উচ্ছ্বাস, আবেগ, অনুভূতি আর রাজপথে বুকের সবটুকু উত্তাপ ঢেলে দেয়া ভালবাসার নাম 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।'
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সকল নেতাকর্মীকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
আপনার মন্তব্য