বিনোদন ডেস্ক

০৫ জুলাই, ২০১৬ ২৩:৩০

‘আমি তো রোজ প্রেমে পড়ি’

‘আমি তো রোজ প্রেমে পড়ি। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমার যা মানসিক অবস্থা, তাতে অন্তত বিয়ে করার কথা আর ভাবছি না’—টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবেই নিজের ব্যক্তি জীবনের নানা কথা বললেন।

শ্রীলেখা বললেন, ‘কেউ যদি ঘরের বউ হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো বিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু এই টিকিয়ে রাখা বিষয়টি নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। জীবনের মানে যদি কমপ্রোমাইজ বলে ধরে নেওয়া যায়, তাহলে যারা জীবনে কমপ্রোইজ করতে পারল না তাদের কী হবে? তাদের সমাজের একটা অংশ একটু অন্য রকম চোখে দেখে। কিন্তু সমাজের এরা ডিসাইড করার কে? নিজের কথা সোচ্চারভাবে বলে দেখাও। তবেই তো ধক্‌ বোঝা যাবে! প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকা চৌকাঠের গণ্ডি তার নিজেরই ঠিক করা উচিত। যেটা আমিও ঠিক করি।’

সিঙ্গল মাদান হিসেবে শ্রীলেখা মিত্র এখন একা। একমাত্র মেয়ে রয়েছে সঙ্গে। বললেন, ‘আমি বহু মহিলাকে জানি যারা বিবাহিত হয়েও একা। আমি একা থেকেও একা। আর এই একা থাকার মধ্যে আমি যে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি, সেটা খুব আরামের। তবে এমন নয় যে, আগে আমি পরাধীন ছিলাম বা কেউ আমাকে শেকল পরিয়ে রেখেছিল। আসলে আগে আমার মানসিক অবস্থাটা অন্যরকম ছিল। তখন বিবাহিত সম্পর্কটা শেকল বলে মনে হতো না। বরং মনে হতো সেটা ছিল একটা ভালোবাসার বাঁধন। একটা জিনিস আজকের সমাজে খুব বিরল বলে মনে করি আমি। সেটা হলো, দুটি মানুষের ভাবনা-চিন্তার লেভেলটা একই স্তরে রয়েছে এমনটা খুব কমই দেখা যায়। যার জন্য প্রায়ই ইগো প্রবলেম, একে অপরকে বুঝতে না পারা, ব্লেম দেওয়ার মতো বিষয়গুলো চলে আসে। সেই সময়ের আমার কথা বলতে গেলে, আমি তখন এই বাঁধনের শেকলটা পরতে চেয়েছিলাম। আর আজকের শ্রীলেখা সেই শেকলটা আর পরতে চায় না। এই দুটোই কিন্তু আমি।’

এখনো শ্রীলেখাকে অনেকেই প্রেম নিবেদন করেন। আর সেই সব পুরুষকে সামলাতে বিন্দুমাত্র বিব্রত বোধ করেন না শ্রীলেখা। সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, ‘যারা আমার বয়সী এবং বিবাহিত পুরুষ, বউকে নিয়ে বোর হয়ে গিয়েছে, তারা অ্যাপ্রোচ করে। কারণ কিন্তু একটাই, আমি এখনো বুড়িয়ে যাইনি! আমি নিজেকে মোটেই বুড়ি মনে করি না। মনে মনে আমি কুড়ি। কিন্তু ওই পুরুষরা যখন ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে থাকে, আপনার চোখে কী আছে বলুন তো? এই ধরনের ম্যাদামারা কথা বললেই দ্যাট টার্নড মি অফ। এরা প্রথমেই রিজেক্টেড। বরং সরাসরি যারা কথা বলে, আই উড লাইক টু গো অন এ ডেট উইথ দেম! আসলে আমি বরাবরই মানুষ ভালোবাসি, হইহই ভালোবাসি, বাঁচতে ভালোবাসি, পজিটিভ মানুষ ভালোবাসি।’ 

একটা বয়সের পর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে ডিপ্রেশন চলে আসে অনেক সময়। এ বিষয়ে শ্রীলেখা বললেন, ‘ডিপ্রেশন প্রতিটি মানুষেরই আসে। সেটা যে কোনো প্রফেশনেই। এমনকি খুব সফল মানুষও ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারেন। তবে আমি অত ক্যারিয়ারিস্টিক নই। কাজ ছাড়াও আমার একটা আলাদা জগৎ আছে। অন্য স্পেস আছে। পেজ থ্রিতে কেন ছবি বের হলো না, তা নিয়ে হাপিত্যেশ করতে পারব না। তবু ডিপ্রেশন থাকে। আর ডিপ্রেশনের কোনো ফিজিক্যাল ম্যানিফেস্টেশন নেই। আর থাকলেও আমরা হয়তো সেটা বুঝতে পারি না। এখন জীবনে স্ট্রেস লেভেল খুব বেশি। কনজিউমারিজম যেভাবে আমাদের হিট করছে, ডিপ্রেশন এখন লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই আমি মনে করি আমাদের বেশি করে কাউন্সেলিং করানো উচিত। আর কাউন্সেলিং জীবনে ভালো থাকার জন্য কতটা হেল্প করে তার উদাহরণ হয়তো আমি নিজেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত