উত্তম কুমার দাশ

২২ নভেম্বর, ২০১৬ ২২:২২

নাচের পূজা

মায়ের ইচ্ছে ছিলো পড়াশুনার পাশাপাশি গানের দিকেই ঝুঁকবে মেয়ে। কিন্তু হারমোনিয়ামের চেয়ে ঘুংঘুরের শব্দই মেয়েকে বেশি বিমোহিত করে। ফলে নাচটাকেই বেছে নিলেন তিনি।

বলছিলাম সৌমিতা বিশ্বাস পূজার কথা । পূজা নামেই যাকে সবাই চেনেন। সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির বিবিএ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী পূজা। ক্যাম্পাসে এসেছেন মাত্র বছরখানেক হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে নাচ আর নিজের সাংগঠনিক কর্মকান্ড দিয়ে সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।
 
আইনজীবী বাবা আর ব্যাংকার মায়ের  ২য় সন্তান পূজা। বাড়ি হবিগঞ্জ সদরে।    হবিগঞ্জের বিকেজিসি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বৃন্দাবন সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হয়েছেন লিডিং ইউনিভার্সিটিতে।

পূজা জানান, পাঁচ বছর বয়সে নাচে হাতেখড়ি। এরপর আর নাচের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় নি পূজার। বারো বছর ধরেই নাচের সঙ্গে আছেন।

পূজা বলেন, নাচটা আমার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। নাচের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরষ্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন পূজা।

পূজা ২০১১ সালে গ্রামীনফোন প্রথম আলো আয়োজিত আই জিনিয়াস প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জ থেকে প্রথম আই জিনিয়াস নির্বাচিত হন। বর্তমানে  যুক্ত আছেন হবিগঞ্জ মেটাল সংগীতের প্রথম ক্লাব হবিগঞ্জ মেটাল এলায়েন্সের ট্রেজারার হিসেবে। এছাড়া লিডিং ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব এবং ব্যান্ড কমিউনিটির সাথেও যুক্ত আছেন তিনি।

নাচের পাশাপাশি দক্ষ সংগঠক হিসেবে খ্যাতি আছে পূজার। হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে  আছেন সৌমিতা বিশ্বাস পূজা।

রোটারি ক্লাব হবিগঞ্জের সাবেক সভাপতি দিবাকর পাল বলেন, পূজা হচ্ছে এমন একজন যাকে নিয়ে  গর্ব করা যায়। সে যেইখানেই যায় নিজগুণে সবার মধ্যমণি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। পূজার সাংগঠনিক দক্ষতা নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়।
 
গ্রাজুয়েশন শেষে চাকরীতে ঢোকার ইচ্ছে থাকলেও 'নাচের মানুষ' পরিচয়টা কখনও হারাতে চান না পূজা। বাচ্চাদের জন্য নাচের স্কুল করার ইচ্ছে তাঁর । পূজা স্বপ্ন দেখেন সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে  দেশ এগিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত