সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ২১:৫৮

কলড্রপ বন্ধ করতে না পারলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কলড্রপ সমস্যার সমাধান চান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সোমবার বিকেলে সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে গ্রাহক ভোগান্তি নিয়ে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম বলেন, কলড্রপ নিয়ে আগেও আলোচনা করেছি। সে ইস্যু এখনো রয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে এতো সময় লাগার কথা নয়।

তিনি বলেন, আপনারা (মোবাইল অপারেটর) কলড্রপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাবনা জমা দেবেন ৷ বিটিআরসিও একটি প্রস্তাবনা দেবে। এ সময়ের মধ্যে আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, এনটিটিএন এর সঙ্গে বৈঠক করব। সবার মত নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা একটি সমাধানে আসব ৷ হয় আপনাদের কলড্রপ বন্ধ করতে হবে নতুবা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এর আগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলড্রপ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি ও অভিযোগের চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়।

এ সময় তারানা হালিম বলেন, কলড্রপ, থ্রিজি সার্ভিসের সমস্যা, ইন্টারনেটের দাম বেশি, বিদেশি কলে অযথা টাকা কেটে নেওয়া, রিংটোন বা কলার টিউনে ব্যবহৃত সুরের সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের সম্মানী না দেওয়া, আনলিমিটেড প্যাকেজ বলে ফেয়ার ইউজ পলিসিসহ বিভিন্ন সমস্যা এখনো প্রকট রয়েছে।

এ বিষয়ে অপারেটরদের বক্তব্য জানতে চান তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি বলেন, ‘কলড্রপের বিষয়ে আমরা বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড মেনে চলার চেষ্টা করি ৷ বিটিআরসির কাছে প্রতিবেদনও জমা দেই। এ সেবা আরও উন্নত করার সুযোগ আছে।

বৈঠকে উপস্থিত বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমদাদ উল বারী বলেন, বিটিআরসির নতুন গাইড লাইনে কলড্রপের স্ট্যান্ডার্ড, প্যাকেজের বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে। তবে সকল অপারেটর এখনও পুরোপুরি চালু করতে পারেনি।

তিনি জানান, সম্প্রতি বিটিআরসি ১৫ জেলায় মোবাইল সেবা নিয়ে এক হাজার ৩৮০ জন গ্রাহকের উপর জরিপ চালায়। ৪৮ শতাংশ গ্রাহক জানিয়েছে ১০টি কলের মধ্যে একটি ড্রপ হয়, ৩০ শতাংশ জানিয়েছে ১০টির মধ্যে দু’টি কলড্রপ হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও প্রতিকার করতে বিটিআরসি একটি সমন্বিত কল সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক সেবাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিতে হবে। তাদের সন্তুষ্টিই আমাদের সকলের প্রধান লক্ষ্য ৷

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, অপারেটরদের যে সেবা যে শর্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করবেন। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত