সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৪১

২০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপ!

অসচেতন ও নিম্ন আয়ের মানুষরা ২০ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে আঙুলের ছাপ। সঙ্গে রাখা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপিও।  সংগৃহীত আঙুলের ছাপ ডিলার প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে সিম নিবন্ধনের জন্য এই নতুন জালিয়াতির পন্থা বেছে নিয়েছে সিম বিক্রেতারা।

এমন কিছু জালিয়াতির চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। সিলেটের দাঁড়িয়াপাড়া, পূর্ব জিন্দাবাজার সহ কিছু এলাকা থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রেতারা জানিয়েছেন কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই তারা সচল সিম কিনতে পেরেছেন। এরকম জালিয়াতি চক্রের সন্ধান চট্টগ্রামেও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারসংলগ্ন মার্কেটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের বিনিময়ে সিম নিবন্ধন করিয়ে নিচ্ছে। মূলত প্রতিটি সিমের বিপরীতে ২০ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে এ চক্র। পরবর্তীতে বেশি দামে এসব নিবন্ধিত সিম বিক্রি করছে তারা।

এ বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় সেলফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘নিবন্ধিত সিম বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ডিলারদের ওপর বর্তায়। এ ধরনের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ওই প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ বাতিলের ব্যবস্থা করি। এছাড়া কেউ চাইলে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে তার নামে নিবন্ধন করা সিম বাতিল করতে পারবেন। তবে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ গ্রাহকদের সচেতনতা জরুরি। এজন্য সেলফোন অপারেটরদের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের কাছে প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক বার্তা পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই বিকালে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের সিডিএ নিউ হকার্স মার্কেট ও রয়েল প্লাজার পাঁচটি মোবাইলের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক সিম জব্দ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুরুতে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০-৭৫ হাজার নিবন্ধিত সিম জব্দের কথা জানানো হলেও গত ২৫ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় ৪ হাজার ৩২১টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৭৩ ও ৭৪ ধারায় মামলা করা হয়।

সূত্র: বণিক বার্তা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত