অনলাইন ডেস্ক

১২ মে, ২০১৮ ১৪:০২

‘স্পুটনিক ১’ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু-১’

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উড়লো। আর এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।

যদিও মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ইতিহাস অনেক পুরনো। বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট ওড়ায় রাশিয়া। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর ‘স্পুটনিক ১’নামের একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হয়। এরপর ওই বছরই রাশিয়া ‘স্পুটনিক ২’ নামের আরেকটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। এই স্যাটেলাইটটিতে যাত্রী ছিল লাইকা নামের একটি কুকুর।

রাশিয়ার মহাকাশ জয়ের এক বছর পর ১৯৫৮ সালে ‘এক্সপ্লোরার-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে মহাকাশে ১০ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে।

মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের শুরুটা হয়েছিল রাশিয়ার হাত ধরে। কিন্তু স্যাটেলাইটের একচ্ছত্র আধিপত্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।

বর্তমানে মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট আছে ৫৬৮টি। এরপর স্যাটেলাইট শক্তিধর হিসেবে রয়েছে চীন। চীনের স্যাটেলাইটের সংখ্যা ১৭৭ টি। স্যাটেলাইটে পায়োনিয়ার হলেও স্যাটেলাইট শক্তিধর দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। মহাকাশে তাদের ১৩৩ টি স্যাটেলাইট রয়েছে। এরপরের অবস্থানে আছে জাপান। দেশটির স্যাটেলাইট রয়েছে ৫৬টি।

বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলেও এর আগেই বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে পা রেখেছে। কেননা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের একদল শিক্ষার্থী এ বছরের ৪ জুন তাদের উদ্ভাবিত ন্যানো স্যাটেলাইট ব্র্যাক অন্বেষা মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে।

ব্র্যাক অন্বেষা হলো বাংলাদেশের প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ। মহাকাশ থেকে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী, সাগর-পাহাড়, গ্রাম-নগর ইত্যাদির আলোকচিত্র ধারণ করা যাবে এই ক্ষুদ্র কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করে প্রতিদিন ১৬ বার সমস্ত পৃথিবীকে এবং প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ বার বাংলাদেশকে প্রদক্ষিণ করে এই স্যাটেলাইট।

অন্যদিকে দেশের একমাত্র ও পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মূলত কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। এর মাধ্যমে টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার, ডিটিএইচ সেবা ও টেলিযোগাযোগ সেবা বিস্মৃত করা যাবে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত ১৯৮০ সালে ‘রোহিনি’ নামের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশে উড়ায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত