ওয়েব ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:১৭

উষ্ণতম বছর ২০১৫, আরও উষ্ণতর হবে ২০১৬

উষ্ণতম বছর হতে চলেছে ২০১৫। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সাল হবে আরও কষ্টকর। বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এমনটি জানিয়েছে। ডব্লিউএমওর আবহবিদরা জানান, এ মুহূর্তে ‘এন নিনো’র যা গতিপ্রকৃতি তাতে ২০১৬ সাল আরও উষ্ণ বছর হতে চলেছে।

আগামী বছর বিশ্বের গড় তাপমাত্রা চলতি বছরের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে। গোটা পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ প্রশান্ত মহাসাগরে পানির স্তরের তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এ প্রাকৃতিক ঘটনার নামই এল নিনো। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, যতদিন বছর এল নিনোর প্রভাব থাকবে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বেই।

এল নিনো হচ্ছে বায়ুমণ্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগুলোর মাঝে একটি পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন। এল নিনো হচ্ছে পর্যায়বৃত্তের উষ্ণ পর্যায়। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। উন্নয়নশীল যেসব দেশ কৃষি কাজ এবং মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল, তারাই এল নিনো দ্বারা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।

২০১৫ শেষ হতে আরও এক মাসের বেশি সময় বাকি। ডব্লিউএমওর আশঙ্কা, ওই সময়ের মধ্যে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৯৬১ সালের তুলনায় এক ডিগ্রি বেড়ে যাবে।

ডব্লিউএমওর সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৫ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৯৬১-৯০ সালের তুলনায় ০ দশমিক ৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার জেনেভায় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল মাইকেল জরাড বিশ্বের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘পৃথিবীর জন্য এটা খুবই খারাপ খবর।

ব্লিউএমও আরও জানায়, এল নিনোর এই দাপটের জন্য মানব সভ্যতাই অনেকটা দায়ী। যেভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভিন্ন দেশে পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাস (কাবর্ন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সাফলার এবং নাইট্রোজেনের গ্যাস) পরিবেশে এসে মিশছে তাতে বাতাসের তাপমাত্রা বাড়ছে।

তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এল নিনো। দুইয়ের যুগলবন্দিতে আগামী বছর বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কোথাও অসময়ে ভারি বৃষ্টিতে বন্যা হতে পারে। কোথাও বর্ষার সময়ে বৃষ্টি হবে না। কোথাও গ্রীষ্মের সময়টায় তুষারপাত হতে পারে, কোথাও বা অনুভূত হবে গরম শীত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত