বুধবারই সান বার্নার্দিনোর হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সন্দেহ করেছিলেন এই হামলার পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থাকতে পারে। ঘটনার দু’দিনের মধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী যোগের প্রমাণ মিলল।

এক ফেসবুক পোস্টে জঙ্গি সংগঠন আইএস প্রতি নিজের অঙ্গীকারবদ্ধতার কথা জানিয়েছে হামলার অন্যতম চক্রী তাশফিন মালিক। আইএস নেতা আবু-বকর-আল-বাগদাদির প্রতি ফেসবুকে বার্তা দিয়েছে তাশফিন।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, স্বনামে নয় অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি করে তাশফিন। হামলা চালানোর আগে ফেসবুক পোস্টটি করে সে। কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য পোস্টটি মুছে দেয় সে।

তবে কী করে বেনামী অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেল তা অবশ্য খোলসা করে কিছুই জানাননি তারা। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, নিজে থেকেই হয়ত তাশফিন এবং তার  স্বামী ফারুক জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। কেউ তাদেরকে এই হামলা চালাতে মগজধোলাই করেনি বলেই অনুমান পুলিশের।

বুধবারের হামলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন ২১ জন।  ৭৫ রাউন্ডেরও বেশি গুলি চালায় বন্দুকবাজরা। একটা কালো বড় গাড়ি চেপে পালাতে যায় তারা। কিন্তু তাড়া করে ধরে ফেলে পুলিশ। ফারুকদের সঙ্গে পুলিশের বেশ কিছু ক্ষণ গুলির লড়াই হয়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় ফারুক (২৮) এবং তার স্ত্রী তাশফিন মালিক (২৭)। ফারুকদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিন ধরনের বিস্ফোরক। তার মধ্যে আছে খেলনা গাড়ি আর রিমোটও।

এরপর তাদের বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক ও গোলা। ফারুকদের কাছে চারটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তার মধ্যে দু’টির বৈধ লাইসেন্স থাকলেও অন্য দু’টির ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাশফিন জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হলেও সে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ফারুকের সঙ্গে তার অনলাইনে আলাপ হয়েছিল। সৌদি আরবে তাদের বিয়ে হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।