সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:৪৯

‘আইএসআই চরের’ ভাইয়ের সঙ্গে আফ্রিদি ও হিনা রাব্বানি খার!

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের গুপ্তচর সন্দেহে ভারতে গ্রেপ্তার সন্ত্রাসী মোহাম্মদ ইজাজের ভাই ফাওয়াদের সঙ্গে দেশটির কয়েকজন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তির যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন-আইবিএন।

প্রতিবেদনের সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ভারতের এই সংবাদমাধ্যমের শনিবারের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ও ক্রিকেট তারকা শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে ফাওয়াদের দুটি ছবি প্রকাশ করেছে।

শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক, এবং বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান বিপিএলে সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে খেলছেন।

সিএনএন-আইবিএন প্রকাশিত একটি ছবিতে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সঙ্গে একই যুবককে দেখা যায়।

অপর এক ছবিতে ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবককে মোহাম্মদ ইজাজের ভাই ফাওয়াদ বলে চিহ্নিত করা হয়। ছবিতে ওই যুবকের মুখে হালকা দাড়ি-গোঁফের রেখা দেখা যায়।

পুলিশ ওই দুই ছবির সত্যতা যাছাই করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

গেল সপ্তাহে আইএসআইয়ের এজেন্ট মোহাম্মদ ইজাজ ওরফে কালাম নামে পাকিস্তানি এক নাগরিককে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর পুলিশ আরও পাঁচ উর্দুভাষীকে গ্রেপ্তার করে, যাদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের এক নেতাও রয়েছেন। মোহাম্মদ আশফাক আনসারী নামে ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ভারতের নৌযানের নকশা পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

ইজাজকে গ্রেপ্তারের পর ভারতীয় গোয়েন্দারা জানান, ২০১৩ সালে নদীপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকেন ইজাজ। এক বাংলাদেশি নাগরিক তাকে ভারতে প্রবেশে সহায়তা করেন।

ভারতে পৌঁছে ইরশাদ ও জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তির সহায়তায় ভারতের জাল পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র এবং মোবাইল সিম কার্ডের ব্যবস্থা করেন তিনি। ইজাজকে এতিম হিসেবে দেখিয়ে বিহারের এক তরুণীর সঙ্গে তার বিয়েও দেন জাহাঙ্গীর।

ইজাজকে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে ইরশাদ ও জাহাঙ্গীরও রয়েছে।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের প্রধান সুজিত পাণ্ডে বলেন, “এরপর থেকেই ইজাজ উত্তর প্রদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। সেখানে ভিডিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করার আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।”

সিএনএন-আইবিএন বলেছে, ইজাজ চলতি বছরের মার্চ ও জুলাইয়ে দুই দফা ভারতের রাজধানী দিল্লি গিয়েছিলেন।

সেসময় অন্য দুটি ছবি কাউকে ইমেইল করেন ইজাজ, যার একটিতে তাকে ভারতের পার্লামেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইজাজ ভারতে নজরদারির কথা স্বীকার করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত