সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০৩

জঙ্গি হামলা : ভারতের পূর্বাঞ্চলেও সতর্কতা

নতুন বছরের শুরুতেই পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর পর এ ধরনের আরও ঘটনার আশঙ্কায় ভারতের পশ্চিম অংশের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও সতর্কতা জারি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

বিমানঘাঁটিতে হামলার পেছনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের নাম আসার পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তাদের বর্ধমান বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেপ্তার জেএমবি নেতা জিয়াউল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে।

গতবছর পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার জিয়াউল জইশ-ই মোহাম্মদ ও জেএমবির মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করতেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।

শনিবার পাঞ্জাব, হিমাচল ও জম্ম-কাশ্মিরের মিলনস্থলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই বিমানঘাঁটিতে শনিবার জঙ্গি হামলায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিন সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হন। হামলাকারীরা পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর থেকে এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চল এয়ার কমান্ডের প্রধান এয়ার মার্শাল এসবি দেও বলেন, “হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ঘাঁটির টেকনিক্যাল এরিয়া উড়িয়ে দেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ধ্বংস করা। তবে আমাদের আধুনিক নজরদাবি ব্যবস্থার কারণে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হযেছে। তাছাড়া যে ক’টি ঘাঁটিকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল, তার মধ্যে পাঠানকোট ঘাঁটিও ছিল।

পাঠানকোট মিগ জঙ্গি বিমানের একটি স্কোয়াড্রন এবং এক স্কোয়াড্রন এমআই হেলিকপ্টার ছিল। বিমানঘাঁটির নিরাপত্তারক্ষীরা হামলাকারীদের ‘টেকনিক্যাল এরিয়ার’ বাইরেই থামিয়ে দেয় এবং বিমানবাহিনীর কমান্ডোরা হেলিকপ্টারে করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। পরে পাঞ্জাব পুলিশ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডও অভিযানে যোগ দেয়।

তবে পাঞ্জাবের এই এক হামলা ঠেকানোর মধ্য দিয়েই আশঙ্কা পুরোপুরি কেটে গেছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন না। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও একই ধরনের হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দারা সতর্ক করে দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত