সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুন, ২০২৩ ১৭:৩৮

অগ্নিগর্ভ ফ্রান্স: বিক্ষোভ গড়িয়েছে তৃতীয় দিনে, গ্রেপ্তার ৬৬৭

ছবি: এপি

তল্লাশি চৌকিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও এর আশপাশের শহরগুলো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।

আগের দুই রাতে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সহিংসতার পর বৃহস্পতিবার রাতে আরও অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্যারিসে রাতে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর রাজধানীর পাশের শহর ক্লামার্তে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে প্যারিসের বাস ও ট্রেন সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন অঞ্চলের প্রধান ভালেরি পেক্রিস। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যানবাহন ভাঙচুরকারীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না।’

ফ্রান্সের চলমান এই বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৬৬৭ জন বিক্ষোভকারীকে।

দেশজুড়ে প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েনের পরেও প্যারিসের অনেক দোকানে ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিক্ষোভে আহত হয়েছেন ২৪৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা না করলে তা ‘বিশাল ভুল’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট রজার কারৌচি।

রাজধানী প্যারিসে মঙ্গলবার পুলিশ ১৭ বছর বছরের তরুণ নাহেল এম’কে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু পুলিশের কথা অমান্য করে গাড়ি চালানো অব্যাহত রাখে নাহেল। এ কারণে তার ওপর গুলি চালিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। আহত তরুণ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে মারা যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় দেশজুড়ে সহিংস দাঙ্গা ।

নাহেলের মা জানিয়েছেন, পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর তার ক্ষোভ নেই, বরং গুলি চালানো কর্মকর্তাকে দোষী মনে করেন তিনি। গুলি করা কর্মকর্তা নাহেলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তার আইনজীবী বলেছেন যে তিনি ‘বিধ্বস্ত’।

আহত তরুণ আলজেরিয়া এবং মরক্কো বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক। ২০১৭ সাল থেকে দেশটির ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে নিহতের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ অথবা আরব, এক প্রতিবেদনে এমন পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত