
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে চান, তাহলে তাঁকে গাজার যুদ্ধ থামাতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এমন মন্তব্যই করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন মাখোঁ। সেখানেই ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যুদ্ধ থামানোর ক্ষমতা একমাত্র ট্রাম্পের হাতেই আছে।
মাখোঁ বলেন, ‘একজনই আছেন—যিনি এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেন, আর তিনি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। কারণ, আমরা এমন অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর সুযোগ দেয়। আমরা এমন সরঞ্জাম দিই না, যা দিয়ে যুদ্ধ চালানো যায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করে থাকে।’
এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, পশ্চিমা মিত্ররা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তাঁর মতে, এই স্বীকৃতি আসলে হামাস যোদ্ধাদের পুরস্কৃত করার শামিল। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজার যুদ্ধ থামাতে হবে। অবিলম্বে শান্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে।’
ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে মাখোঁ বলেন, ‘আমি এমন এক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখছি, যিনি বিষয়টিতে সম্পৃক্ত। যিনি আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সকালে জাতিসংঘের মঞ্চে বলেছেন, “আমি শান্তি চাই। আমি সাতটি সংঘাত সমাধান করেছি। ” তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। নোবেল শান্তি পুরস্কার তখনই সম্ভব হবে, যখন এই যুদ্ধ থামানো যাবে।’
কম্বোডিয়া, ইসরায়েল ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো শান্তিচুক্তি ও অস্ত্রবিরতি ঘটানোর জন্য ট্রাম্পকে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে। ট্রাম্প আগেও বলেছেন, নরওয়েতে প্রদত্ত এই সম্মান তিনি পাওয়ার যোগ্য। তাঁর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্ট এ পুরস্কার পেয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, ‘জাতিসংঘে উপস্থিত সবাই মিলে যতটা শান্তির জন্য কাজ করেছেন, তার চেয়েও বেশি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একমাত্র এই প্রেসিডেন্টই বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য এত কিছু করতে পেরেছেন। কারণ, তিনি কার্যকরভাবে আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করে তুলেছেন।’
আপনার মন্তব্য