সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৬ ১২:২৬

সৌদি থেরাপিস্টের ‘স্ত্রী পেটানোর’ তরিকার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল

সৌদি আরবের এক 'ফ্যামালি' থেরাপিস্টের স্ত্রীকে পেটানোর তরিকা বাতলে দেয়ার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ 'কুৎসিত', 'বীভৎস' ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে এই থেরাপিস্টের কঠোর সমালোচনা করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ইউটিউবে আপলোডকৃত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, খালেদ আল সাকাবি নামের ওই থেরাপিস্ট বনের মধ্যে একটি চেয়ারে বসে স্ত্রীকে পেটানোর নানা ধরনের পন্থা সম্পর্কে বলছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি সম্পর্কে বলা খুবই কঠিন, এখানে অনেক সমস্যা হতে পারে বলে আমি জানি। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা নিরাপদেই এ পথ পাড়ি দেব।’

ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই ভিডিও ফুটেজটি এই বছরের শুরুর দিকে ধারণ করা হয়েছে। পরে গত মাসে এটি অনুবাদ করে ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মিডলইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউশন সম্প্রচার করেছে।

ভিডিওতে আল সাকাবি বলেন, ইসলামেও আছে স্ত্রীকে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পেটানো যায়। পেটানোর সময় রড কিংবা ধারালো কোনো কিছু ব্যবহার না করে মেসওয়াক কিংবা রুমাল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়েছেন, স্ত্রী যে ভুল পথে চলছে সেই অনুভূতি জাগানোই হচ্ছে পেটানোর উদ্দেশ্য।

পেটানোর আগে স্ত্রীকে ইসলাম অনুযায়ী তাঁর অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন আল-সাকাবি। এ ক্ষেত্রে পুরুষটি তাঁর স্ত্রীকে অবজ্ঞা করতে পারেন। বিছানায় পেছন ফিরে ঘুমাতে পারেন। অথবা যেকোনো একজন মেঝেতে ঘুমাতে পারেন। কিন্তু স্বামী অন্য কোনো কক্ষে যাবেন না।

আল-সাকাবি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু স্ত্রী রয়েছেন যাঁরা তাঁর স্বামীর সমান অধিকার পেতে চান। এটি গুরুতর সমস্যা। অনেক নারী এমন ভুল করেন যার কারণে তাঁর স্বামী তাঁকে পেটাতে বাধ্য হন।

এই ভিডিও শেয়ার করে অনেকে মন্তব্য করছেন এ ধরনের সহিংসতা আহবান করা ভিডিও ইউটিউবে থাকা উচিত নয়। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, এসব লোকদের বাজে মানসিকতা জানার জন্যও এটি সবার দেখা উচিত।

ভিডিও : ‘স্ত্রী পেটানোর’ তরিকার ভিডিও

আপনার মন্তব্য

আলোচিত