সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৯ জুন, ২০১৬ ০৩:৩৮

তুরস্কে বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ-গুলি, নিহত ১০

তুরস্কের ইস্তামবুল শহরের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন, যাদের ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার ইস্তামবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এই হামলা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে গুলিবর্ষণ করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীরা বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল হলের প্রবেশমুখের একটি চেক পয়েন্টে পৌঁছালে তাদের আটকাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল।

দেশটির বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদাগ পার্লামেন্টে বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনি একজন হামলাকারীর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। হামলায় ১০ জন নিহত ও ২০ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন।

“আমার কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, আতাতুর্ক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে এক সন্ত্রাসী প্রথমে কালাশনিকভ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এবং তারপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়,” তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সিএনএন টার্ক।

তবে হামলায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু বলছে, আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর আতাতুর্ক হয়ে বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের চলাচল। ঘটনাস্থল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে মেঝেতে এবং একটি টার্মিনাল ভবনের বাইরে আহতদের পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

টেলিভিশন ফুটেজে ঘটনাস্থলের দিকে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যেতে দেখা যায়।

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, ‍বিমানবন্দরের কার পার্ক থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

ট্যাক্সিতে করে বিমানবন্দর থেকে আহতদের নেওয়া হচ্ছিল বলে জানান তিনি।

হামলার পর আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বাতিল করে যাত্রীদের হোটেলে ফেরত পাঠানো হয় বলে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান।

এর আগে এক কর্মকর্তা জানান, ওই বিমানবন্দরের কিছু ফ্লাইট অন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বছর তুরস্কে বেশ কয়েক দফায় বোমা হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইস্তামবুলের পর্যটন এলাকায় দুই দফা আত্মঘাতী হামলা হয়, যার জন্য আইএসকে দায়ী করা হয়।

এছাড়া রাজধানী আঙ্কারায় দুটি গাড়ি বোমা হামলা হয়, যার দায় স্বীকার করে একটি কুর্দি জঙ্গি গ্রুপ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত