সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০১৬ ০৭:৩০

১৬ বছরের অনশন ভাঙছেন শর্মিলা

দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের মনিপুর রাজ্যের অধিকারকর্মী ইরম শর্মিলা। অনশনের পরিবর্তে তিনি নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (এএফএসপিএ) বাতিলের দাবিতে ২০০০ সাল থেকে অনশন করছেন শর্মিলা। শর্মিলা যখন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২৭। এখন বয়স ৪৪। আগামী ৯ আগস্ট তিনি অনশন ভাঙবেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 
  
শর্মিলা বলেন, ‘সরকার ইতিবাচক সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ইস্যুর সমাধানে আমি নির্বাচনে লড়ব।’

২০১৭ সালে মনিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তিনি। ২০১৪ সালেই শর্মিলার সামনে রাজনীতিতে নামার প্রস্তাব এসেছিল। আম আদমি পার্টি তাকে টিকিট দিতে চেয়েছিল। তবে শর্মিলা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে নামলেও, তিনি যে এবারও কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে ময়দানে নামতে চাইছেন না, শর্মিলা তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়া শর্মিলা জানিয়েছেন, তিনি এবার বিয়ে করতে চান।

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনে চরমপন্থী এলাকায় অভিযান চালানোর জন্য বাহিনীকে সীমাহীন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যখন যেখানে খুশি হানা দেয়া বা তল্লাশি চালানো, শান্তিশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে যে কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার করা এমন কী প্রয়োজন বুঝলেই গুলি চালানোর ক্ষমতাও সশস্ত্র বাহিনীকে দেয়া হয়েছে।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে ২০০০ সালে সে রকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছরের নভেম্বর মাসে ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই শিশুসহ ১০ বেসামরিক লোক নিহত হন। এরপর ওই আইন বাতিলের দাবিতে শর্মিলা একাই অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। মণিপুরের প্রশাসন অবশ্য শর্মিলাকে অনশন চালাতে দেয়নি। তাকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
  
নাকে নল ঢুকিয়ে তরল খাবার দেয়া হতে থাকে। শর্মিলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে অভিযোগ আনা হয়, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। আদালত অবশ্য সে অভিযোগ মানেনি। ২০১৪ সালে শর্মিলাকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয় একটি আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত