সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৬ ১৪:৩৬

শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্ক বন্ধের দাবি অভিভাবকদের, হরতালের হুমকি

অতিরিক্ত হোমওয়ার্ক শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি মানসিক চাপ। তাই স্পেনে বহুদিন ধরে এই প্রথা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। এবার সেই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তাদের অভিভাবকেরাও। এমনকি দাবি না মানলে হরতালের হুমকিও দিয়েছেন অভিভাবকরা।

শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক বাড়ির কাজ (হোমওয়ার্ক) বন্ধের দাবি জানিয়ে এ হুমকি দিয়েছে স্পেনের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সংগঠন স্প্যানিশ অ্যালায়েন্স অব প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিইএপিএ)।

সিইএপিএর প্রেসিডেন্ট হোসে লুইস পাথস বলেন, শিশুদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত অন্যান্য চর্চায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে অবশ্যকরণীয় এই সাপ্তাহিক বাড়ির কাজ।

তিনি বলেন, স্পেনের শিক্ষাপদ্ধতি এখনো সেকেলে। ছেলেমেয়েদের সবকিছু মুখস্থ করানোর প্রথা থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, সমাজ গভীরভাবে বদলে গেছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ এখনো বদলায়নি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) তাদের প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্টের (পিআইএসএ) আওতায় ২০১২ সালে একটি শিক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩৮টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, যে দেশগুলোয় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি বাড়ির কাজ দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে স্পেন পঞ্চম। এ তালিকায় স্পেনের আগে রয়েছে রাশিয়া, ইতালি, আয়ারল্যান্ড ও পোল্যান্ড।

বাড়ির কাজের গড় সময় সপ্তাহে ৪ দশমিক ৯ ঘণ্টা ধরে পিআইএসএর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ‘হোমওয়ার্ক’ করতে হয়। ফিনল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু তাদের হোমওয়ার্কের পেছনে সপ্তাহে ব্যয় করতে হয় তিন ঘণ্টারও কম সময়। স্পেনে শিক্ষার্থীদের ওপর এই বাড়তি চাপ তাদের কোনো উপকারেই আসছে না। উল্টো গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় তারা অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাচ্ছে।

সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান

আপনার মন্তব্য

আলোচিত